পুরস্কার অনুষ্ঠানে আবুল কাসেম ফজলুল হক

'সাহিত্য সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্যতা সামনে আনা উচিত'  

মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর মিলনায়তনে ‘আবু খালেদ পাঠান ফাউন্ডেশন’ প্রবর্তিত এই পুরস্কার পেলেন কফিল আহমেদ আফরোজা সোমা

গণ অভ্যুত্থানের পর সমাজ সংস্কারে সবার সোচ্চার থাকা জরুরি। সমন্বিতভাবে সমাজের জন্য কাজ করা, সাহিত্য সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও শিক্ষা নিয়ে সিরিয়াসলি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন আত্যাবশক। বিশেষ করে দেশীও সাহিত্য সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্যতা সামনে আনা উচিত প্রজন্মের জন্য।'

লেখক ও গ্রগতিশীল চিন্তক আবু খালেদ পাঠানের স্মরণে প্রবর্তিত আবু খালেদ পাঠান সাহিত্য পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কথাগুলো বলেছেন শিক্ষাবিদ ও চিন্তক আবুল কাসেম ফজলুল হক। 

শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ঢাকার আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে 'আবু খালেদ পাঠান ফাউন্ডেশন' প্রবর্তিত এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কবি কফিল আহমেদ ও আফরোজা সোমার  হাতে ২৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও প্রশংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ফারুক মাহমুদ, কবি এম সানাউল হক, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক কাজল রশীদ শাহীন, শিক্ষক বীরেন্দ্র কিশোর রায় (বিকে রায়)। আবু খালেদ পাঠান ফাউন্ডেশন এর পক্ষে বক্তব্য রাখেন নায়লা ইয়াসমিন। সভাপতিত্ব করেন লেখক ও সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ।

কাজল রশীদ শাহীন বলেন, প্রজন্মেক বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে নির্মাণ করতে হলে ইতিহাস পাঠের বিকল্প নেই। এবং আবু খালেদ পাঠানদের মতো মানুষদের জীবনীও ছড়িয়ে দিতে হবে। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক আহমেদ উল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল কাশেম, কবি আবুল এহসান অপু, কবি সৈয়দ এনাম উল আজিম ও কবি সদরুল উলা। অনুষ্ঠানে সঙ্গিত পরিবেশন করেন আব্দুর রশীদ ও  কফিল আহমেদ। 

উল্লেখ্য, কফিল আহমেদের জন্ম কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায়। তিনি লিটল ম্যাগাজিনকেন্দ্রিক সাহিত্যচর্চায় মনোযোগী ছিলেন। আর আফরোজা সোমা সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

Comments

The Daily Star  | English

At least 30 hurt as clashes engulf part of Old Dhaka

Suhrawardy college, hospital vandalised as protests over student’s death turn violent

33m ago