সাইফুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ব্রিটিশ এমপির চিঠি

আপসানা বেগম বলেন, এসব সম্পদ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং আমি বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশের জনগণের সমর্থনে সেগুলো অবশ্যই ফেরত দেওয়া উচিত, কেননা তারা গণতন্ত্র এবং নিজেদের স্বার্থে পরিচালিত সমাজের জন্য লড়াই করছে।
আপসানা বেগম ও সাইফুজ্জামান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থাকে (এনসিএ) চিঠি দিয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দলের এক এমপি।

গতকাল মঙ্গলবার লেবার পার্টির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি আপসানা বেগম এনসিএ মহাপরিচালক গ্রায়েম বিগারের কাছে এই চিঠি দেন।

চিঠিতে তিনি জানান, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে কর জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং সংস্থাটি দাবি করেছে যে, তিনি যুক্তরাজ্যে কোটি কোটি ডলার পাচার করেছেন।

আপসানা বেগম উল্লেখ করেন,  এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি এবং ইউকে কোম্পানি হাউসের রেকর্ডগুলোর বিষয়ে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলো ১৫ কোটি পাউন্ডেরও বেশি মূল্যের কমপক্ষে ২৮০টি সম্পত্তি অর্জন করেছে। 

তিনি আরও যোগ করেন, আল-জাজিরার তদন্তে জানা গেছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী আমার নির্বাচনী এলাকা পপলার ও লাইমহাউজে ৭৪টি সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।

আপসানা বেগম বলেন, এসব সম্পদ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং আমি বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশের জনগণের সমর্থনে সেগুলো অবশ্যই ফেরত দেওয়া উচিত, কেননা তারা গণতন্ত্র এবং নিজেদের স্বার্থে পরিচালিত সমাজের জন্য লড়াই করছে।

এনসিএ মহাপরিচালকের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন অন্যায়ভাবে অর্জিত তহবিল পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাইছে, আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ থাকব যদি আপনি স্পষ্ট করেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং এই দুর্নীতির তদন্তে অভিযুক্ত অন্যান্য ব্যক্তির যুক্তরাজ্যভিত্তিক সব সম্পদ তদন্ত ও জব্দ করার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই তহবিল জব্দ ও প্রত্যর্পণ করা শুধু ন্যায়বিচারের জন্যই নয়, বাংলাদেশের জনগণের অধিকারের ভবিষ্যতের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে এটি যুক্তরাজ্যের সুনাম ও আন্তর্জাতিক অবস্থানের জন্যও অপরিহার্য।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

12h ago