প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে জাবি কর্তৃপক্ষের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

দ্য ডেইলি স্টার বাংলায় গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত 'শামীমকে পিটিয়ে হত্যা: ধামরাইয়ের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আটক' শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কর্তৃপক্ষ।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, '২০ সেপ্টেম্বর আপনার পত্রিকার অনলাইন বাংলা ভার্সনে প্রকাশিত ''শামীমকে পিটিয়ে হত্যা: ধামরাইয়ে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আটক'' শীর্ষক খবরের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের একাংশে পুলিশের একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ''বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে পুলিশের প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার ফলে আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি'' বলে যে তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে, তা সত্য নয়।'

এতে আরও বলা হয়, 'প্রকাশিত সংবাদের শেষাংশে প্রক্টরের বক্তব্য হিসেবে ''পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে কোনো অনুমতি এখন পর্যন্ত চাওয়া হয়নি। তারা (পুলিশ) যদি অনুমতি চায়, তাহলে আমরা বিষয়টি দেখব'' উদ্ধৃত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উপস্থাপিত পুলিশের বক্তব্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো সংক্ষুদ্ধ হতে পারে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।'

'বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছে যে, প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। তবে আইন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব পালনের জন্য স্বায়ত্তশাসিত এ প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে বিদ্যমান পরিস্থিতি উত্তরণে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পুলিশ-প্রশাসন এবং গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে', প্রতিবাদলিপিতে যোগ করা হয়।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রশ্ন করা হলে পুলিশের পক্ষ থেকে আসামি গ্রেপ্তারে অপারগতার কারণ হিসেবে যা বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে হুবহু তাই উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে এমনটা বলা হচ্ছে জানালে তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম রাশিদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে টেলিফোনে বলেন, 'পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে কোনো অনুমতি এখন পর্যন্ত চাওয়া হয়নি। তারা (পুলিশ) যদি আনুমতি চায়, তাহলে আমরা বিষয়টি দেখব।'

প্রতিবেদনে দুই পক্ষের বক্তব্যই হুবহু তুলে ধরা হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

What if the US election ends in a Trump-Harris tie?

While not highly likely, such an outcome remains possible, tormenting Americans already perched painfully on the edge of their seats ahead of the November 5 election

2h ago