‘হুমকির’ কারণে সেনাবাহিনীর আকার বাড়াচ্ছে রাশিয়া

মহড়ায় অংশ নিচ্ছেন রুশ সেনাসদস্যরা। ছবি: রয়টার্স
মহড়ায় অংশ নিচ্ছেন রুশ সেনাসদস্যরা। ছবি: রয়টার্স

রুশ সেনাবাহিনীতে সক্রিয় সেনার সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫ লাখ করতে যাচ্ছে রাশিয়া। সীমান্তে নতুন 'হুমকি' ও পশ্চিমের আগ্রাসী মনোভাবের কারণ দেখিয়ে এই উদ্যোগ নিচ্ছে ক্রেমলিন।

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

সোমবার এ বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি সরকারি নির্দেশনায় সাক্ষর করেছেন। যার ফলে নতুন এক লাখ ৮০ হাজার সেনা যোগ হচ্ছে রুশ বাহিনীতে।

রুশ গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সক্রিয় সেনার সংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীতে রাশিয়ার অবস্থান এখন দ্বিতীয়।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের সীমান্তের চারপাশে অসংখ্য হুমকির সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি আমরা।'

'পশ্চিম সীমান্তের শত্রুভাবাপন্ন পরিস্থিতি ও পূর্ব সীমান্তে অস্থিতিশীলতার কারণেই এই উদ্যোগ', যোগ করেন তিনি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরুর পর এ নিয়ে তিনবার সেনাবাহিনীর কলেবর বাড়ালেন পুতিন। জুনে পুতিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ মুহূর্তে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে সাত লাখ রুশ সেনা মোতায়েন করা আছে।

সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দেন পুতিন। ফাইল ছবি: রয়টার্স
সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দেন পুতিন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

গত ছয় সপ্তাহে রাশিয়া কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আসা হামলা প্রতিহত করতে বাড়তি সেনা মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে। অপরদিকে, পূর্ব ইউক্রেনেও হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে মস্কো।

কোনো পক্ষই এ যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করে না, কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, গত দুই বছরেরও বেশি সময়ে উভয় পক্ষের লাখো মানুষ হতাহত হয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়া তাদের সীমান্তে হুমকির বিষয়ে অভিযোগ করে এসেছে, বিশেষত, ন্যাটোর পক্ষ থেকে।

ন্যাটোর দাবি, তারা একটি প্রতিরক্ষামূলক জোট এবং জোটের সদস্যরা মস্কোর সঙ্গে সরাসরি কোনো সংঘাতে জড়াতে আগ্রহী নয়। তাদের দাবি, রাশিয়া তার প্রতিবেশীদের প্রতি 'আগ্রাসী মনোভাব' দেখায়, যার ফলে এ অঞ্চলে অস্থিরতা বেড়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

World leaders split as ICC issues arrest warrant for Netanyahu

The court also issued warrants for Israel's former defence minister as well as Hamas's military chief Mohammed Deif

1h ago