পদ্মার ভাঙন রোধে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ

নদী ভাঙন সমস্যার সমাধান না হলে এই অবরোধ অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: স্টার

পদ্মার ব্যাপক ভাঙনের কবলে পড়েছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন বহলবাড়িয়া, তালবাড়িয়া, বারুইপাড়া ও বাহিরচর ইউনিয়ন। এ পরিস্থিতিতে ফসলি মাঠ ও বসতবাড়ি রক্ষায় মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া ইউনিয়নের নওদা খাদিমপুরে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন এলাকাবাসী।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে যান চলাচল বন্ধ আছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটিতে। এতে অনেকটাই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ।

বিক্ষোভকারী তরুণ মারফত আলী বলেন, 'আমাদের শত শত বিঘা ফসলি মাঠ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন হুমকির মুখে পড়েছে আমাদের বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় সড়ক অবরোধ ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো উপায় নেই।'

কুষ্টিয়া শহর থেকে ভেড়ামারার মহেশকুন্ডিগামী বাসচালক উজ্জ্বল বলেন, 'প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আটকে আছি। অনেক যাত্রী বাস থেকে নেমে গেছেন।'

স্থানীয় পারুল বেগম বলেন, 'নদী ভাঙতে ভাঙতে আমাদের ঘরের কাছে চলে এসেছে। যেকোনো মুহূর্তে ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। করজোড়ে এসব রক্ষার দাবি জানাই।'

রাস্তার দুই পাশে জমে গেছে শত শত পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন। ছবি: স্টার

নদী ভাঙন সমস্যার সমাধান না হলে এই অবরোধ অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা।

তিন ঘণ্টার অবরোধে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে সড়কটিতে। রাস্তার দুই পাশে জমে গেছে শত শত পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সড়ক অবরোধের ঘটনা আমরা শুনেছি। এ বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। আপাতত জিও ব্যাগ ও টিউব ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হবে।'
 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh welcomed 20 percent US tariff

Bangladesh gains edge after US tariff cut

The Trump administration has lowered its reciprocal tariff on Bangladeshi goods to 20 percent from 35 percent, strengthening the country’s competitive standing in the US market amid intensifying regional competition.

7h ago