‘এথিকাল হ্যাকারের’ কাছ থেকে সতর্কবার্তা পেল প্রথম আলো

প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে দেওয়া হ্যাকারের বার্তা। ছবি: স্ক্রিনশট
প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে দেওয়া হ্যাকারের বার্তা। ছবি: স্ক্রিনশট

দেশের শীর্ষ বাংলা দৈনিক প্রথম আলোর ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, যিনি ওয়েবসাইটটি হ্যাক করেছেন, তিনি একজন 'এথিকাল' বা নৈতিক হ্যাকার।

আজ ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টার দিকে পত্রিকাটির ওয়েবসাইটের হোম পেজে একটি বার্তা 'পিন' করে রাখা হয়। এই বার্তায় পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে নিরাপত্তা ত্রুটির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। 

এই প্রতিবেদন লেখার সময় অবশ্য সে বার্তাটি আর প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে দৃশ্যমান ছিল না।

প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান এবং পত্রিকাটির কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া বার্তার শুরুতে বলা হয়, 'আমি প্রথমেই এই বিষয় পরিষ্কার করতে চাই যে আমি আপনাদের শত্রু নই বা দেশের সর্বাধিক পঠিত ও সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য বাংলা সংবাদপত্র প্রথম আলোর কোনো সম্পদের ক্ষতি করার কোনো উদ্দেশ্য আমার নেই।'

বার্তার পরবর্তী অংশে বলা হয়, 'অনলাইন মাধ্যমে সংবাদ প্রচারের জন্য আপনাদের ওয়েবসাইটের ব্যবহৃত কুইনটাইপ টেকনলজিকস ইন্ডিয়া লিমিটেডের তৈরি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস)-এ গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ত্রুটি রয়েছে।'

সিএমএসের এই ত্রুটি কীভাবে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে, সে বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখা দেন অজ্ঞাত হ্যাকার।

তিনি বলেন, (এই ত্রুটির) সুযোগ নিয়ে 'অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রথম আলোর পূর্বপ্রকাশিত কোনো সংবাদ বা তথ্য পরিবর্তন, পরিমার্জন বা নতুন কোনো মিথ্যা তথ্য সংবাদ আকারে প্রকাশ করে এবং প্রথম আলোর বিশ্বাসযোগ্যতা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের মধ্যে গুজব ছড়াতে পারে।''

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

'তাই আপনাদের সতর্ক করতে আমি এ বার্তাটি প্রকাশ করছি', যোগ করেন তিনি।

তিনি প্রথম আলোর প্রযুক্তি বিভাগ ও নির্বাহী কর্মকর্তাদের সামনে ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ত্রুটি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার আগ্রহের কথা জানান।  তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন, যৌথ প্রচেষ্টায় অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের সব ত্রুটি দূর করা সম্ভব।

যোগাযোগের জন্য তিনি বার্তার শেষে একটি ই-মেইল অ্যাড্রেস উল্লেখ করেন, যা হলো prothomalosecurityconcern@duck.com

এ বিষয়ে প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন মাসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নোটিশটি সরিয়ে নিয়েছি। এ মুহূর্তে আমাদের আইটি টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। পরবর্তীতে আমরা এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করব।'

Comments