খুররম-হামজার তোপের পর লিটন-মিরাজের প্রতিরোধ
সকালে নেমেই মির হামজা আর খুররম শাহজাদের স্যুয়িংয়ে নাজেহাল অবস্থায় পড়ে বাংলাদেশ। এই দুই পেসারের তোপে টপ আর মিডল অর্ডার ধসে পড়ে হুড়মুড় করে। দলের মহা বিপদে পরে প্রতিরোধ গড়েন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
তৃতীয় দিনে নেমে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর লিটন ও মিরাজ মিলে ৭ম উইকেট জুটিতে এনেছেন ৪৯ রান। ৬ উইকেটে ৭৫ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। যদিও ফলোঅন এড়াতে এখনো দরকার ৪৯ রান। মিরাজ ৩৩ ও লিটন ১৩ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন।
পাকিস্তানের ২৭৪ রানের জবাবে আগের দিন শেষ বিকেলে প্রথম বলেই হামজার বলে ক্যাচ দিয়ে বেঁচেছিলেন সাদমান ইসলাম। দুই ওভার কোনমতে পার করে দিলেও তৃতীয় দিনে পাকিস্তানি পেসারদের স্যুয়িংয়ের সামনে কাঁপতে থাকে বাংলাদেশের টপ অর্ডার।
হামজার বলে জাকির শুরুতে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান, পরে নিশ্চিত এলবিডব্লিউ থেকেও আম্পায়ারের ভুলে রক্ষা পান তিনি। জীবন পেয়েও কোন রান যোগ করতে পারেননি। খুররমের বলে দেন সহজ ক্যাচ। আড়াআড়ি কোণ তৈরি করে সাদমানকেও বোল্ড করেন খুররম। একইভাবে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকেও ছাঁটেন তিনি। টেস্টে টানা ৮ ইনিংস ধরে রান খরা চলমান থাকে শান্তর।
মুমিনুল হক ফেরেন হামজার বুদ্ধিদীপ্ত স্লোয়ার বলে। বেরিয়ে যাওয়া বল ফ্লিক করতে গিয়ে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। দলের চরম বিপর্যয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ভরসা ছিলেন আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম, কিন্তু হামজার বেরিয়ে যাওয়া বলে কিপারের হাতে জমা পড়েন তিনি।
সাকিবও টিকতে পারেননি। খুররমের বেরিয়ে যাওয়া বলে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউতে বিদায় নেন ২ রান করে। ২৬ রানেই পড়ে যায় ৬ উইকেট।
এরপর নেমে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন মিরাজ। পেয়ে যান কিছু বাউন্ডারি, আরেক প্রান্তে লিটন ছিলেন সতর্ক। এই দুজন প্রতিরোধ গড়লেও রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে এখনো ব্যাকফুটে বাংলাদেশ।
Comments