দুর্নীতির ২ মামলায় মির্জা আব্বাস খালাস

mirza_abbas_ds
মির্জা আব্বাস | ফাইল ছবি

দুর্নীতির দুই মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাস। এর মধ্যে তেজগাঁওয়ে শিল্পপ্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষ তুলে নেওয়ায় খালাস পান তিনি ও আরও দুই জন।

তারা হলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবি ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র বিশেষ সহকারী সচিব মাহফুজুল ইসলাম।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারার মামলা প্রত্যাহার চেয়ে দুদকের আবেদনের পর আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস ও অন্য দুজনকে খালাস দেন।

২০০৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক আফজাল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ অন্য আসামিরা হলেন, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র বিশেষ সহকারী সচিব, বর্তমানে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) মাহফুজুল ইসলাম।

২০০৭ সালের ১৫ জুলাই আব্বাস, লবি ও মাহফুজের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি তিনজন যোগসাজশ করে লবির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক কেমিক্যালস লিমিটেডকে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় একটি শিল্প প্লট বেআইনিভাবে বরাদ্দ দেন। নিয়ম লংঘন করে ১৯ দশমিক ৪৪ কাঠার প্লট বরাদ্দে অভিযুক্তরা তাদের প্রভাব খাটিয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়।

বিনিয়োগ বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তি সনদ ছাড়াই প্লটটি শিল্প প্লট হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

দুর্নীতির আরেক মামলায় খালাস

২০০৭ সালের আগস্টে দায়ের করা আরেকটি দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন মির্জা আব্বাস।

ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মাসুদ পারভেজ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

বিচারক বলেন, প্রসিকিউশন আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আদালত মির্জা আব্বাসকে মামলার সব অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন।

রায়ের পরপরই মির্জা আব্বাস সাংবাদিকদের বলেন, অবশেষে তিনি আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছেন। তিনিও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch a party by next Feb

Student leaders who spearheaded the July-August mass uprising are planning to launch a political party by early February 2025 and contest the next general election.

7h ago