নগরকান্দায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

নগরকান্দা বাজারে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে নগরকান্দা বাজারে কৃষক দলের কেন্দ্রীয়  সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

সংঘর্ষে নিহত কবির ভুঁইয়া (৫০) নগরকান্দা পৌরসভার ছাগলদী মহল্লার বাসিন্দা ছিলেন।

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার এনায়েত হোসেন সাখাওয়াৎ দ্য ডেইলি স্টারকে মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জানায়, মঙ্গলবার রাতে শহিদুল ইসলাম বাবুলকে স্বাগত জানিয়ে নগরকান্দা উপজেলা সদরে তার সমর্থকদের বানানো দুটি তোড়ন ভেঙে ফেলে শামা ওবায়েদের সমর্থকরা। শহীদুলের সমর্থক নগরকান্দা পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর মাতুব্বরকে ধাওয়া দেয় শামা ওবায়েদের সমর্থকরা। 

সকালে কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম একটি মোটর শোভাযাত্রা করেন। নগরকান্দা বাজারে ও তালমার মোড়ে পথসভা করে ফরিদপুর শহরে জনসভা করতে যাওয়ার কথা ছিল তার।

শহিদুলের সমর্থকরা নগরকান্দা বাজারের কাছে বেইলি সেতুতে পৌঁছালে সেখানে অবস্থানরত শামা ওবায়েদের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে শহিদুল ইসলামের কয়েকজন সমর্থক আহত হন। 

নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসন গঠিত। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে শহীদুল ইসলাম বাবুল ও শামা ওবায়েদের আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। আজকের ঘটনা তা প্রকাশ্য রূপ নিলো।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে শামা ওবায়েদের মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

জানতে চাইলে নগরকান্দা থানার ওসি আমিনুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কৃষক দলের শহীদুল সভা করতে চাইলে বাধা দেয় বিএনপির শামা ওবায়েদ গ্রুপ। এ নিয়ে দুই পক্ষ সকাল থেকে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে একজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছে। আমরা দুইপক্ষকে সরিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

13h ago