লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের অপেক্ষায় ক্রিকেট মহল
দেখতে দেখতে প্যারিস অলিম্পিকের পর্দা নেমে গেছে। সব অ্যাথলেটদের লক্ষ্য এখন তৈরি হবে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক ঘিরে। ২০২৮ সালের অলিম্পিক গেমস নিয়ে ক্রিকেট মহল উচ্ছ্বসিত হতে শুরু করেছে এরই মধ্যে। দীর্ঘ ১২৮ বছর গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত প্রতিযোগিতায় ফিরছে ক্রিকেট। রিকি পন্টিং এটির ইতিবাচক দিক ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই পারছেন না। এদিকে জেমিমাহ রদ্রিগেসের অপেক্ষার তর সইছে না।
সবশেষ ১৯০০ সালে অলিম্পিকে ক্রিকেট আয়োজিত হয়েছিল। মূলত ওই একবারই খেলাধুলার এই মহোৎসবে ক্রিকেটের উপস্থিতি ছিল। মাত্র দুই দলের অংশগ্রহণে শেষ হয়েছিল ক্রিকেট ইভেন্ট। ফ্রান্সকে হারিয়ে গ্রেট ব্রিটেন জিতেছিল সোনা।
গত বছর লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক আয়োজক কমিটি পাঁচটি খেলা সংযোজনের প্রস্তাব দেয়। যার মধ্যে একটি ক্রিকেট থাকায় অলিম্পিকে দ্বিতীয়বার খেলাটির মঞ্চায়ন নিশ্চিত হয়।
সম্প্রতি আইসিসি রিভিউ পডকাস্টে এ নিয়ে পন্টিং বলেছেন, 'এটা ক্রিকেটের জন্য শুধু ইতিবাচকই হতে পারে। বিগত ১৫ অথবা ২০ বছরে আমি ভিন্ন অনেক কমিটিতে বসেছি, অলিম্পিকে কীভাবে ক্রিকেট ফেরানো যায়, এটি সবসময় শীর্ষ এজেন্ডা ছিল। এবং অবশেষে, এটি ফিরছে…আর মাত্র চার বছর দূরে।'
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আরও বলেছেন, 'বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষ অলিম্পিক গেমস দেখে, তাই এটা সম্পূর্ণ নতুন দর্শকদের কাছে আমাদের খেলাটি পৌঁছে দিবে।'
তার মতো ভারতের ডানহাতি ব্যাটার রদ্রিগেসও বেশ উচ্ছ্বসিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে লিখেছেন তিনি- শীঘ্রই ভারতের হয়ে অলিম্পিকে ক্রিকেট খেলার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না!
লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেট খেলা হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ছিল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন মুলুকে এবার অলিম্পিকের ক্রিকেট বড় সাড়া ফেলবে বলে আশা ক্রিকেট অঙ্গনের।
Comments