টাঙ্গাইলে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় আহত ১০, রাজপথ এখন ছাত্র-জনতার দখলে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগের মধ্যে টাঙ্গাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে নজরুল সরনি সড়কে জড়ো হন। সেখানে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
এরপর জমায়েতকারীরা সাড়ে ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এসময় অভিভাবকদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদেরও দেখা গেছে।
এদিকে শহরের বটতলা এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর দুষ্কৃতিকারীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন।
পরে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও স্থাপনা ভাঙচুর করেন।
শহরে দোকানপাট বন্ধ আছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ আছে। শহরের ভেতর ছোট যানবাহন সীমিত আকারে চলছে।
কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম শহরের বিবেকানন্দ স্কুলে নেতাকর্মীদের নিয়ে জমায়েত হচ্ছে—এমন খবরে আন্দোলনকারীরা সেখানে গিয়ে জেয়াহেরের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। গাড়ির চালককে পিটিয়ে আহত করে।
ঘাটাইল উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে আন্দোলনকারীদের ধাওয়ায় তা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় একটি পুলিশ বক্সে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।
কালিহাতীতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে আন্দোলনকারীরা ধাওয়া করে। এখানে ইটের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাহেরুল ইসলাম ঠান্ডুসহ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
অন্যদিকে জেলা শহর ছাড়াও সখীপুর ও ঘাটাইল উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায়ও আন্দোলনের খবর পাওয়া গেছে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন বলেন, 'আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহবান জানানো হয়েছে। আমরা ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।'
Comments