সচিবালয় ঘেরাও করা আনসারদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করা আনসার সদস্যদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আজ রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সচিবালয় এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টার সংবাদদাতা জানান, সন্ধ্যা থেকে সচিবালয় ঘেরাও করে রেখেছিল প্রায় দেড় হাজার আনসার সদস্য।
এতে সচিবালয়ের ভেতরের অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক এবং কর্মকর্তারা আটকা পড়েন।
খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় হাজারখানেক শিক্ষার্থী সচিবালয় এলাকায় যায়। তাদের সঙ্গে জনতাও যোগ দেয়।
এসময় আনসার সদস্যরা ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্য আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সংঘর্ষে আহত অন্তত ৪০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, রাত পৌনে ৯টা থেকে আহতরা হাসপাতালে আসা শুরু করে। এ পর্যন্ত ৪০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই মাথায় আঘাত রয়েছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
ছাত্র-জনতা কয়েকজন আনসার সদস্যকে আটক করে তাদের ইউনিফর্ম খুলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সেখানে উপস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কে শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দেশে বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে আমরা ত্রাণকাজ নিয়ে ব্যস্ত। আনসার সদস্যদের দাবি মানার জন্য সময় চাওয়া হলেও। তারা সুযোগ নিয়ে সচিবালয় ঘেরাও করেছে। এমন আনসার বাহিনী আমরা চাই না। তারা দেশের সংকট বোঝে না।'
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত ১০টার দিকে আনসার সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে সচিবালয় এলাকা ত্যাগ করে।
চাকরি জাতীয়করণসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছিল আনসার সদস্যরা। আজ সোমবার আন্দোলনকারী আনসারের প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আনসারদের দাবিগুলো পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করেন এবং সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
পরে আনসারের পক্ষ থেকে সাময়িকভাবে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপরেও আনসারদের একটি অংশ সচিবালয় এলাকায় অবস্থান করে এবং একপর্যায়ে সচিবালয় ঘেরাও করে ফেলে।
Comments