বান্দরবানে টানা বর্ষণে পাহাড় ধস, আলীকদমের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

বান্দরবানে টানা চার দিনের ভারী বৃষ্টিতে খালের পানি বেড়েছে, সেইসঙ্গে পাহাড় ধসও হয়েছে। ছবি: স্টার

বান্দরবানে টানা চার দিনের ভারী বৃষ্টিতে নীলগিরিতে পাহাড় ধস হয়েছে এবং পাহাড়ি ঢলে লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হ‌য়ে‌ছে। 

পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওইসব এলাকার শতাধিক দোকান ও ঘরবাড়ি। এছাড়া, আলীকদম উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। 

গত রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত অবিরাম বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে জেলার লামা, আলীকদম, থানচি ও নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম এলাকার বাসিন্দা মো. নরুল আবছার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'টানা ভারী বর্ষণে তংব্রু খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শতাধিক দোকান ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার পানি কিছুটা নেমেছে। তবুও ২০-৩০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।'

ঘুমধুমের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, ইউনিয়নের শতাধিক দোকান ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। 

আলীকদম উপজেলার বাসিন্দা সুশান্ত তংচংগ্যা জানান, ভারী বর্ষণে মাতামুহুরি নদীর পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চৈক্ষ্যং স্কুল এলাকা, রেফার পাড়ার কাঁকড়া ঝিরি, ছাবের মিয়া পাড়া ও শিবাতলী তালগাছ এলাকায় প্লাবিত হয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। 

বান্দরবান আবহাওয়া অধিদপ্তরের অফিসার ইনচার্জ সনাতন কুমার মন্ডল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বান্দরবানে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টি আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে। এখানে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের আশঙ্কাও আছে।

জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘুমধুম এলাকায় শতাধিক দোকান ও ঘরবাড়ি বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। তাদের ত্রাণ দিতে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছি।'

আলীকদমের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রুপায়ন দেব জানান, চৈক্ষ্যং স্কুলের সামনে হাঁটু সমান পানি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলে ১০-১৫ ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এজন্য ৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

Comments

The Daily Star  | English

Remittances grow 3% in January

Migrants sent home $2.18 billion in the first month of 2025

2h ago