জাহাজীকরণে দেরি হওয়ায় বিদেশি পোশাক ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

তৈরি পোশাক
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ব্যাপক প্রাণহানি পরিপ্রেক্ষিতে কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় গত সপ্তাহে পোশাক ব্যবসায়ীদের শত শত পূর্বনির্ধারিত সভা ও কারখানা পরিদর্শন বাতিল হয়। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ব্যাপক প্রাণহানি, কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের কারণে সময়মতো পণ্য সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক পোশাক বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো।

এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি ব্যবসায়ীরা আসন্ন বড়দিনে সময়মতো পোশাক সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সরকারকে দ্রুত উচ্চগতির ইন্টারনেট চালুর দাবিও জানিয়েছেন তারা।

উত্তরায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বিদেশি ক্রেতারা এ দাবি জানান।

বিজিএমইএ ও বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে এটি নিয়মিত বৈঠক হলেও সাম্প্রতিক সংকটের কারণে এসব বিষয় এখন বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে।

বৈঠকে উপস্থিত বিজিএমইএর এক জ্যেষ্ঠ নেতা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিদেশি ক্রেতারা রপ্তানি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় চট্টগ্রাম ও বেনাপোল বন্দরে কনটেইনার জট দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন।'

উৎপাদন, সরবরাহ ও জাহাজীকরণে দেরির ঘটনা এমন সময়ে ঘটেছে যখন দেশের রপ্তানি নিম্নমুখী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত রপ্তানি ৩৯ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ৩৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

এ সময়ে পোশাক রপ্তানি পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ কমে ৩৩ দশমিক শূন্য চার বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

বর্তমানে সুতার মতো কাঁচামালের অভাবে অনেক পোশাক কারখানা সময়মতো উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারছে না। গত সপ্তাহে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে পণ্য পরিবহন করা যায়নি।

গত সপ্তাহে ব্যবসায়ীদের শত শত পূর্বনির্ধারিত সভা ও কারখানা পরিদর্শন বাতিল করতে হয়।

এইচ অ্যান্ড এম, এমএক্স ও বেস্টসেলারের মতো বিদেশি ক্রেতাদের প্রতিনিধিসহ প্রায় সব বড় পোশাক কারখানার কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

তারা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন ও জাহাজীকরণে অসুবিধার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ইন্টারনেটের ধীর গতির কারণে তাদের যোগাযোগ বিঘ্নিত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন।

বৈঠক শেষে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশি ক্রেতারা তাদের আশ্বস্ত করেছে যে তারা পণ্যের দামে ছাড়, উড়োজাহাজে পণ্য পরিবহন চাবেন না বা কার্যাদেশ বাতিল করবেন না।

Comments

The Daily Star  | English

Industrial output soars, but where are the jobs?

Over the past decade, more and more industries have sprung up across the country, steadily increasing production. But while output rose, factories did not open their doors to more workers.

10h ago