ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, অবরোধ, বিক্ষোভ, কোটা আন্দোলন
সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিট থেকে ১টা পর্যন্ত ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন রাবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণার পর আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থীরা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

আজ সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জড়ো হন। তারা সেখানে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। সেখানে কয়েক শ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন- 'শেইম শেইম, ডিক্টেটর', 'শিক্ষার্থীদের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন', 'আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই', 'গদি ধরে মারো টান, স্বৈরাচার হবে খান খান'।

রাবির সমন্বয়ক ফুয়াদ উল ইসলাম ভুঁইয়া রাতুল বলেন, 'আমরা দেখেছি দেশব্যাপী গোয়েন্দা সংস্থা আন্দোলকারীদেরকে আটক করে, মামলার ভয় দেখিয়ে, মামলা তুলে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে, শারীরিক অত্যাচার ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সরকারের অনুকূলে আন্দোলন প্রত্যাহারের বিবৃতি দেওয়াচ্ছে।'

'সর্বশেষ গত ২৮ জুলাই আন্দোলনের ছয় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আটকে রেখে জোরপূর্বক বিবৃতি পাঠ করানো হয়েছে। সরকার ভুলে গেছে এই প্রজন্ম এই মুহূর্তে আর ভীত সন্ত্রস্ত নয়, বরং উজ্জীবিত। একজন সমন্বয়কারী পিছিয়ে গেলে অন্য কেউ দায়িত্ব নেবে, তবুও শহীদ ভাইবোনদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি হবে না। নয় দফা দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলবে,' বলেন ফুয়াদ উল ইসলাম ভুইয়া।

এর আগে গত ১৮ জুলাই রাবির শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তখন থেকে রাবির হলগুলো শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে পড়ে।

বিশ্ববিদ্যালয় চালুর ব্যাপারে রাবি উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের রুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতির পরিমাণ বিশ্লেষণ করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে আট সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর হলের রুম থাকার উপযোগী করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
conflict over security responsibilities at Dhaka airport

Dhaka airport: APBn at odds with aviation force over security duties

A conflict has emerged between the Aviation Security Force (AVSEC) and the Airport Armed Police Battalion (APBn) over security responsibilities at Hazrat Shahjalal International Airport (HSIA). APBn claims that AVSEC took control of their office on October 28, hindering their ability to perform duties effectively

55m ago