নারী টি-টোয়োন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আইসিসির উদ্বেগ নেই, জানালেন বিসিবি সভাপতি

Nazmul Hasan Papon

দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় অক্টোবরে হতে যাওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আইসিসির উদ্বেগের খবর বেরিয়েছিলো। তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন, আইসিসি সভায় এই নিয়ে কোন আলাপ হয়নি। আইসিসি বুঝতে পেরেছে এখন বাংলাদেশের সব কিছু ঠিক আছে।

আগামী ৩ থেকে ২০ অক্টোবর ঢাকা ও সিলেটে হতে যাচ্ছে মেয়েদের বিশ্ব আসর। গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় এই আসর নিয়ে আইসিসির উদ্বেগ আছে বলে খবর দিয়েছিলো ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।

দেশে ইন্টারনেট বন্ধ থাকা অবস্থায় শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে আইসিসি সভায় যোগ দেন নাজমুল। ক্রীড়া মন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি রোববার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের জানান, তাকে সেখানে দেখে আইসিসির চিন্তা দূর হয়েছে, 'আমি যখন সেখানে (শ্রীলঙ্কা) যাই দেশের অবস্থা ছিলো শোচনীয়, বাংলাদেশের বাইরে যোগাযোগের অবস্থা ছিলো না। খবর দেখে তারা উদ্বিগ্ন ছিলো।'

'আমাকে দেখার পর তারা বুঝল যে সব কিছু ঠিকাছে। এরপর আইসিসি সভায় এই নিয়ে কোন কথা হয়নি।'

অক্টোবরে আইসিসির পরবর্তী সভা ঢাকাতেই হবে বলে জানিয়েছেন বোর্ড প্রধান। সেই সভায় আইসিসির নতুন কমিটি নির্বাচিত হতে পারে বলেও খবর দিয়েছেন তিনি,  'আইসিসির পরের বোর্ড মিটিং ঢাকায় হবে। এখানে নির্বাচনটাও হওয়ার কথা।' মূলত কলম্বোয় অনুষ্ঠিত আইসিসির সভা সম্পর্কেই কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি। আইসিসির নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অক্টোবরে বর্তমানে যিনি চেয়ারম্যান আছেন, তাঁর শেষ বোর্ড মিটিং। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার দিয়ে দেওয়ার কথা। এটা এর মধ্যেই হয়ে যাওয়ার কথা।'

'আইসিসির বর্তমান কমিটির এখন যেহেতু শেষ টার্ম, কিছু ক্রিটিক্যাল সিদ্ধান্ত আছে, যেটার ওপর নির্ভর করবে অনেক কিছু। এখন যা পাস হচ্ছে, তা কিন্তু আট বছর চলবে। কে কত টাকা পাবে, খেলা কী হবে, এ বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য। আমি এখন শুধু আইসিসি ও এসিসি নিয়েই আমার সময়টা ব্যয় করছি। যেন ভবিষ্যতে (বিসিবি সভাপতি পদে) যে-ই আসুক, আইসিসি ও এসিসি নিয়ে কোনো সমস্যায় না পড়েন।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

18h ago