উডের তোপ আর স্টোকসের টি-টোয়েন্টিসুলভ ইনিংসে হোয়াইটওয়াশ উইন্ডিজ

ব্যাটিং অর্ডারের উপরে উঠে আসা স্টোকস আক্রমণাত্মক ইনিংসে গড়েন রেকর্ড। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ইংল্যান্ডের পক্ষে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির মালিক এখন তিনি।
ছবি: রয়টার্স

৩৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে খেলতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে তোপ দাগলেন মার্ক উড। হুড়মুড় করে ভেঙে পড়া দলটির শেষ পাঁচটি উইকেট একাই নিলেন গতিময় পেসার। তার নৈপুণ্যে জয়ের জন্য পাওয়া সহজ লক্ষ্য অধিনায়ক বেন স্টোকসের তাণ্ডবে দ্রুত মিলিয়ে ফেলল ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করল তারা।

এজবাস্টনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের ফয়সালা হয়েছে তিন দিনেই। ক্যারিবিয়ানরা দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১৭৫ রানে। তাদের শেষ ৬ উইকেটের পতন হয় স্রেফ ২৯ রানে। এতে ইংলিশদের সামনে দাঁড়ায় ৮২ রানের চাহিদা। টি-টোয়েন্টিসুলভ ব্যাটিংয়ে মাত্র ৭.২ ওভারেই তা মিটিয়ে ফেলে দলটি।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং অর্ডারের উপরে উঠে আসা স্টোকস আক্রমণাত্মক ইনিংসে গড়েন রেকর্ড। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ইংল্যান্ডের পক্ষে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির মালিক এখন তিনি। মাত্র ২৪ বলে মাইলফলক স্পর্শ করা বাঁহাতি ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে। ২৮ বল মোকাবিলায় ৯ চার ও ২ ছক্কা হাঁকান তিনি। আরেক ওপেনার বেন ডাকেট করেন অপরাজিত ২৫ রান। তিনি ১৬ বল খেলে মারেন ৪ চার।

এর আগে উইন্ডিজের হয়ে দিনের খেলা শুরু করেন মিকাইল লুইস ও আলিক আথানেজ। তাদের ৩১ রানের জুটি ভাঙেন অফ স্পিনার শোয়েব বশির। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন আথানেজ। চাপ সামলে চতুর্থ উইকেটে ৭২ রান যোগ করেন লুইস ও কাভেম হজ।

লুইসকে সাজঘরে ফিরিয়ে ইংলিশদের কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু পাইয়ে দেন স্টোকস। ৯৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৭ রান করেন তিনি। এরপর তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে সফরকারীদের ইনিংস। জেসন হোল্ডার সিরিজসেরা গাস অ্যাটকিনসনের শিকার হওয়ার পর টানা উইকেট নেওয়ার উৎসবে মাতেন উড। একই ওভারে হজ, জেইডে সিলস ও শামার জোসেফকে আউট করে ইতি টানেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ের।

৭ চারে ৭৬ বলে ৫৫ রান করেন হজ। তার শেষ পাঁচ সতীর্থ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। ম্যাচসেরা উড ৫ উইকেট দখল করেন ৪০ রানে। প্রথম ইনিংসে ৫২ রানে ২ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ওই ইনিংসে উইন্ডিজ অলআউট হয়েছিল ২৮২ রানে। জবাবে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে তোলে ৩৭৬ রান।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

7h ago