‘সারা দেশে নিটিং কারখানায় উৎপাদন বন্ধ’

সংবাদ সম্মেলনে বিকেওএ নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

নতুন নিটিং মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে আজ সোমবার থেকে উৎপাদন বন্ধ রেখে কর্মবিরতি শুরু করেছে নিটিং কারখানা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেওএ)।

আজ সোমবার সংগঠনটির সভাপতি সেলিম সারোয়ার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তৈরি পোশাক কারখানা মালিকরা নিটিং পণ্য ক্রয়ে নতুন মজুরি বাস্তবায়ন না করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই কর্মবিরতি চলবে।

শনিবার নারায়ণগঞ্জের বিসিকে সংগঠনটির এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় সেলিম সারোয়ার বলেন, 'নিটিং ফ্যাক্টরি একটি রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ প্রতিষ্ঠান। নিট শিল্পে নিটিং ফ্যাক্টরিগুলোকে অবজ্ঞা বা হালকা করে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু অতি দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, আমাদের এই নিটিং ফ্যাক্টরিগুলোর মালিকরা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি মালিকদের অবহেলা ও অসহযোগিতার কারণে আজ মানবেতর জীবনযাপন করছে। অথচ নিট শিল্পের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে নিটিং ফ্যাক্টরিগুলোর অবদান অপরিসীম। কিন্তু আমরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছি না।'

'বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমদানি নির্ভর কাঁচামালের দাম, নিটিং মেশিনের এক্সেসরিজ, ফ্লোর ভাড়া, পরিবহন খরচ, দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিতে নিটিং কারখানা মালিকদের টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বর্তমানে নিটিং ফ্যাক্টরির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ১ জুলাই ঘোষিত নতুন নিটিং মজুরি বাস্তবায়ন ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে সব নিটিং শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৫ জুলাই সকাল ৮টা থেকে দেশের সব নিটিং ও কল-কারখানার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।'

সারা দেশে প্রায় এক হাজার ২০০ নিটিং কারখানা রয়েছে, যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলাতেই আট শতাধিক কারখানা রয়েছে বলে জানান সেলিম সারোয়ার।

বিকেওএর সভাপতি সেলিম সারোয়ার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত চার বছরে ডলারের রেট ৪০ শতাংশ বেড়ে ৮৪ টাকা থেকে ১১৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে। নিটিং কারখানার কাঁচামালগুলো ডলারের মাধ্যমে আমদানি করা হয়। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় করে নিটিং পণ্যের মজুরি নির্ধারণের দাবি আমাদের। ডলারের রেট ৪০ শতাংশ বাড়লেও আমরা সিঙ্গেল জার্সিতে কেবল ১৫ টাকা থেকে পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ২০ টাকা নির্ধারণ করেছি। এই দাবি আমাদের যৌক্তিক দাবি।'

'আমরা আর লোকসানে কারখানা চালাতে পারছি না। গার্মেন্টস মালিকরা যদি মজুরি না বাড়ান, তাহলে আমাদের কারখানাগুলো চালানোর কোনো সুযোগ নেই', যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Crowd control operations: Police seek to restrict use of lethal arms

A special committee of the Police Headquarters recommends replacing 50 percent of the long barrel firearms with short-barrel ones in order to lower casualties during crowd control operations.

10h ago