‘বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশ অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে’
দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বজুড়ে চলমান কর্মযজ্ঞে বাংলাদেশ অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
রোববার পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত 'ন্যাশনাল ওয়ার্কশপ অন পিপিইপিপি-ইইউ প্রজেক্ট' শীর্ষক একটি জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ঢাকার আগারগাঁওস্থ পিকেএসএফ ভবনে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় তোফাজ্জল হোসেন মিয়া আরও বলেন, গত দেড় দশকে বাংলাদেশে দারিদ্র্য ও অতিদারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং এর পেছনে সরকারের বিভিন্ন গণমুখী, সময়োপযোগী পদক্ষেপের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সহায়তা কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো অতিদারিদ্র্য নিরসন এবং এ লক্ষ্য পূরণে দীর্ঘমেয়াদি, টেকসই কার্যক্রম গ্রহণের বিকল্প নেই।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পিকেএসএফ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন 'পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল—ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (পিপিইপিপি-ইইউ)' প্রকল্পের আওতায় কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়। এতে সম্মানীয় অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব জনাব মো. আবদুর রহমান খান। পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার।
চার্লস হোয়াইটলি তার বক্তব্যে বলেন, গত বছর ইইউ এবং বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করে। পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পটি এ সম্পর্কেরই একটি প্রতিফলন। গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত ও মানবিক বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন হলেও হাওর ও উপকূলীয় এলাকার মতো দেশের অনগ্রসর অঞ্চলগুলোতে অতিদারিদ্র্যের হার এখনো বেশি বিধায় এসব স্থানে বিশেষ মনোযোগ অব্যাহত রাখতে হবে।
পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পকে একটি অভিনব প্রকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করে ড. নমিতা হালদার বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবন্ধিতা ও লবণাক্ততার প্রকোপ মোকাবিলার মতো কঠিন বিষয়গুলো সমাধানে কাজ করা হয়, যা একই সঙ্গে সময়সাপেক্ষ ও চ্যালেঞ্জিং।
পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণে পিকেএসএফের যত অভিজ্ঞতা ছিল, সব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা হয়। এ প্রকল্পের অগ্রগতি আশা জাগানিয়া। তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে প্রকল্পের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সদস্যরা প্রকল্প থেকে পাওয়া সহায়তার সুফল নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। এ ছাড়া, ২০২২ সাল থেকে বাস্তবায়নাধীন পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পের বিভিন্ন কম্পোনেন্টের ওপর একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রকল্প বিষয়ক একটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
Comments