সন্ধ্যার পর বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিচ্ছে পেট্রোপোল কর্তৃপক্ষ

সন্ধ্যার পর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বেনাপোলে ট্রাকের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার বাণিজ্য সেবা বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এতে ব্যাহত হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। 

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টার পর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয় পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যার পর থেকে রাতে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি উভয় বন্দরে।

পরে আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে আবার স্বাভাবিক হয় আমদানি-রপ্তানি। দিন শেষে সন্ধ্যায় আবারও বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। 

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুই দেশের সরকার প্রধানদের সম্মতিতে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা আমদানি-রপ্তানি হওয়ার কথা দুই বন্দরের মধ্যে।

কিন্তু হঠাৎ ২৪ ঘণ্টার জায়গায় ১০ ঘণ্টা বাণিজ্য চালু থাকায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। পচনশীল পণ্য সময়মতো বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে পারছে না। শিল্প কাঁচামাল আসায় দেরি হলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবেন ব্যবসায়ীরা। 

জানতে চাইলে বেনাপোল কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করতে দুই দেশের সিদ্ধান্তে সপ্তাহে ৬ দিন ২৪ ঘণ্টা আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। এতে রাজস্ব আদায় ৪০ শতাংশ বেড়ে যায়। আমদানির পরিমাণ ৩০০ ট্রাক থেকে বেড়ে ৫০০ ট্রাক ও রপ্তানির পরিমাণ ১৫০ থেকে বেড়ে ৩০০ ট্রাকে দাঁড়ায়।' 

বেনাপোল ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্টাস অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, 'সন্ধ্যার পর পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকতে না পারায় বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দেবে।'

২৪ ঘণ্টা পণ্য আমদানির সুবিধা চালু না করলে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে না বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়। 

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম ডেইলি স্টারকে বলেন, '২০১৭ সাল থেকে বেনাপোল বন্দরে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চলছিল। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ওপারের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়া  বন্ধ করে দিয়েছে। তারা বলছেন, বাণিজ্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে জানানো হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

50m ago