শিরোপা জিতে মাদ্রিদের রাস্তায় জন্মদিন উদযাপন করতে চান ইয়ামাল

শনিবারই ১৭ বছরে পা দিয়েছেন স্পেনের নতুন ফুটবল সেনসেশন লামিন ইয়ামাল। তবে জন্মদিনের উদযাপনটা আপাতত অপেক্ষায় রাখছেন। বার্লিনে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো জিতেই বিপুল আনন্দে ভাসতে চান রোমাঞ্চকর ফুটবল খেলা এই তরুণ।

জন্মদিনের উদযাপন নিয়ে স্পেনের মার্কাকে ইয়ামাল বলেন, 'আমি আমার মাকে বলেছি যদি আমরা জিতি তাহলে আমি কোন উপহার চাই না। আমি শুধু আমার বন্ধুদের নিয়ে মাদ্রিদে উদযাপন করতে চাই।'

'এটা পাগলাটে ব্যাপার হবে। বিমানবন্দর থেকে পুরো রাস্তায় মানুষ নেমে আসবে, অবিশ্বাস্য আনন্দে সবাই পাগল হয়ে যাবে।'

১৫ মাস আগে বার্সেলোনার হয়ে অভিষেক হয় ইয়ামালের। অল্প বয়সেই সুযোগ পান স্পেন জাতীয় দলে৷ এবার ইউরোতে নেমেই নিজের শৈলী দিয়ে তিনি তুলেন আলোড়ন। ফ্রান্সের বিপক্ষে দূরপাল্লার দারুণ শটে গোল করে সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে আন্তর্জাতিক আসরে গোলের রেকর্ড গড়েন।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইউরো ফাইনালে আরও বড় কিছু করার সুযোগ ও সম্ভাবনা আছে তার।

পুরো আসর জুড়ে তিনি যেমন পারফর্ম করেছেন তাতে উদীয়মান সেরা তো বটেই, একদম সেরা খেলোয়াড় হওয়ারই দাবিদার এই ফরোয়ার্ড।

ইউরোতে স্পেনের রোমাঞ্চকর ছুটে চলায় সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট (৩),  মোড় ঘোরানো পাস (১৬), সুযোগ তৈরি (৬) করে সেই দাবি জোরালো করেছেন তিনি।

ইউরোতে আলোড়ন তোলা ফুটবল খেলার মাঝেই তার বাবা গত সপ্তাহে এক ছবি প্রকাশ করে আসর জমিয়ে দেন। ২০০৭ সালের ছবিতে দেখা যায় সদ্যোজাত ইয়ামালকে কোলে নিয়েছেন তখনকার ২০ বছরের তরুণ লিওনেল মেসি।

এরপর মেসি জিতেছেন ৮টা ব্যালন ডি'অর।  জিতেছেন বিশ্বকাপ। এরমধ্যে ইয়ামাল বেড়ে উঠে শুরু করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবল। স্পেনের এক টিভিকে তার বাবা এই ব্যাপারে বলেন, 'জীবনের অদ্ভুত এক কালতাল'

স্পেনে জন্মানো ইয়ামালের বাবা এসেছেন মরক্কো থেকে, মা ইকুটিরিয়াল গিনির। যিনি ফুটবলার হিসেবে ডানা মেলেছেন পৃথিবীর অন্যতম সেরা ফুটবল উৎকৃষ্ট দেশে। যেখান থেকে সাম্প্রতিক সময়ে পেদ্রি, গাভি,  আনসো ফাতির মতন তরুণরা উঠে এসেছেন।

টুর্নামেন্ট জুড়ে অসাধারণ খেলায় ইয়ামালকে নিয়ে ভীষণ আশাবাদী কোচ লুইস দেলা ফন্তে, 'আমরা ভাগ্যবান যে সে স্প্যানিশ। আমরা আশা করি অনেক বছর তার ঝলক দেখব।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

8h ago