ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালে স্পেন

সেমি-ফাইনালের আগে আসর জুড়ে ওপেন প্লেতে কোনো গোল ছিল না ফ্রান্সের। কিন্তু ফলাফল ঠিকই পক্ষে এসেছে তাদের। ফাইনালের ওঠার লড়াইয়ে এদিন শুরুতেই কাঙ্ক্ষিত সেই ওপেন প্লের গোল পেয়ে যায় দলটি। কিন্তু এবার আর ফলাফল যায়নি নিজেদের পক্ষে। চার মিনিটের ঝড়ে লা মাসিয়ার দুই ফুটবলারের গোলে ফাইনালের টিকিট কেটেছে স্পেন।

জার্মানির ফুটবল অ্যারেনা মুনশেনে মঙ্গলবার রাতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে ফ্রান্সকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে স্পেন। ম্যাচের প্রথমার্ধেই হয় গোল তিনটি। ফ্রান্সকে রেন্ডাল কোলো মুয়ানি এগিয়ে দিলেও চার মিনিটের ব্যবধানে লামিনে ইয়ামাল ও দানি ওলমোর গোলে জয় পায় স্প্যানিশরা।

ইউরোতে এর আগে দুই দলের লড়াইয়ে যে দলেই জিতেছিল শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সেই দলই। ১৯৮৪ সালের ফাইনালে স্পেনকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ফ্রান্স। এরপর ২০০০ সালে ইউরোপের ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের কোয়ার্টার ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছিল ফরাসিরা। আর ২০১২ সালে শিরোপা জয়ের পথে কোয়ার্টার-ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল স্পেন।

এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে আধিপত্য ছিল স্প্যানিশদের। যদিও শুরুতেই গোল হজম করে তারা। এরপর দুটি গোল করে উল্টো লিড নেয়। তবে গোল পেতে পারতো আরও কয়েকটি। কিন্তু ফরোয়ার্ডের ব্যর্থতায় গোল মিলেনি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য উজ্জীবিত ফুটবল খেলে ফ্রান্স। কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে না পারায় হারতেই হয় তাদের।

এদিন ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই সুবর্ণ সুযোগ পায় স্পেন। ইয়ামালের ক্রসে একেবারে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়ে যান ফ্যাবিয়ান রুইজ। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। তবে এই পিএসজি মিডফিল্ডার না পারলেও তিন মিনিট পর ঠিকই পেরেছেন তার ক্লাব সতীর্থ কোলো মুয়ানি। প্রায় একই ধরণের আক্রমণে কিলিয়ান এমবাপের ক্রসে ঠিকই হেডে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

তবে ১২ মিনিট যেতেই সমতায় ফেরে স্পেন। ২১তম মিনিটে ডান প্রান্তে বল পেয়ে এক খেলোয়াড়কে এড়িয়ে ডি-বক্সের বাইরে দারুণ এক বাঁকানো শটে বল জালে পাঠান ইয়ামাল। এর চার মিনিট পর দলকে এগিয়ে দেন ওলমো। জেসুস নাভাসের ক্রস এক খেলোয়াড় হেড দিয়ে ঠেকলে আলগা বল পেয়ে যান তিনি। এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নেওয়া তার শট জুলস কুন্ডে ঠেকাতে চাইলেও পায়ে জালে প্রবেশ করলে উল্লাসে মাতে স্প্যানিশরা।

সমতায় ফিরতে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধারা বাড়ায় ফরাসিরা। ৫২তম মিনিটে আরলিয়ান চুয়ামিনির দুর্বল হেড, ৫৬তম মিনিটে এমবাপের কোণাকোণি শট এবং ৬০তম মিনিটে দেম্বেলের ক্রস ঠেকাতে তেমন বেগ পেতে হয়নি স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমনের। ৬৩তম মিনিটে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি দায়ত উপামেকানো।

৭৬তম মিনিটে তো একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন থিও হার্নান্দেজ। কিন্তু তার শট লক্ষ্যেই থাকেনি। ৮১তম মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারতো স্পেনও। ইয়ামালের শট বারপোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। চার মিনিট পর এক খেলোয়াড় কাটিয়ে ফাঁকায় ঢুকে গিয়েছিলেন এমবাপে। কিন্তু তার শট ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট। এরপরও বেশ কিছু সুযোগ ছিল তাদের। কিন্তু গোল না হলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ফরাসিদের।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka to pursue extradition of Hasina, Prof Yunus tells The Hindu

Bangladesh will pursue the extradition of ousted Prime Minister Sheikh Hasina from India, Chief Adviser Professor Muhammad Yunus told The Hindu

48m ago