আমি বাড়ি যেতে প্রস্তুত ছিলাম না: টাইব্রেকারে জিতিয়ে এমিলিয়ানো

ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখায় ইকুয়েডর। মাঝে আর্জেন্টিনা নিজেদের খুঁজে পেলেও শেষ দিকে আবারও নিয়ন্ত্রণ করে তারাই। যোগ করা সময়ে গোল করে মোমেন্টামও পেয়ে যায় দলটি। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। কিন্তু আর্জেন্টিনার গোলবারে যে ছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। পেনাল্টি শ্যুটআউটে বর্তমান সময়ের সেরা মানা হয় তাকে। আরও কেন মানা হয় তা ফের দেখালেন তিনি।

হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে এদিন এমিলিয়ানো ত্রাতা না হয়ে এলে বাড়ি ফিরতে হতে পারতো আর্জেন্টাইনদের। প্রথম পেনাল্টিই যে মিস করে ফেলেছিলেন দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি। কিন্তু তার প্রভাব বিন্দুমাত্র পড়তে দেননি এমিলিয়ানো। ইকুয়েডরের প্রথম দুটি পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। ম্যাচ শেষে বললেন, 'আমি বাড়ি যেতে প্রস্তুত ছিলাম না।'

আর প্রস্তুত থাকবেনই বা কি করে? কোপা আমেরিকায় ইকুয়েডরের বিপক্ষে হারের ইতিহাসই নেই তাদের। তার উপর দারুণ ছন্দে থাকা দলটি বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়নও। ম্যাচে স্পষ্ট ফেভারিট ছিল আর্জেন্টিনা। যদিও মাঠে অবশ্য তা করে দেখাতে পারেনি দলটি। পাল্লা দিয়েই লড়েছে ইকুয়েডর।

দলকে সেমি-ফাইনালে তোলার পর এমিলিয়ানো বললেন, 'আমি ছেলেদের বলেছিলাম যে আমি বাড়িতে যেতে প্রস্তুত নই। আমি মানুষের সঙ্গে খুবই সংযুক্ত রয়েছি বলে অনুভব করি, আমার সঙ্গে আমার পরিবারও ছিল, এটি বিশেষ মুহূর্ত। এই দলটি (আর্জেন্টিনা) এগিয়ে যাওয়ার যোগ্য, এটা রোমাঞ্চকর।'

টাইব্রেকারে এখন পর্যন্ত ঈর্ষনীয় ফলাফল এমিলিয়ানোর। চারবার এই ভাগ্য পরীক্ষা নামক লড়াইয়ে অংশ নিয়ে জিতেছেন চারবারই। এই সময় তাকে শট মোকাবেলা করতে হয়েছে মোট ১৮টি। এরমধ্যে নয়টিই গোল হয়নি। যার আটটি ফিরিয়েছেন তিনি। একটি মিস করেন প্রতিপক্ষরা।

তবে এরজন্য কঠোর পরিশ্রম করেন এমিলিয়ানো, 'আমি এরজন্য কাজ করি। আমি অনুশীলনে দিনে ৫০০ বার শুটিং করি। আমি সবসময় নিজেকে ভালো রাখি এবং এই দলের জন্য আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। দেশ এটার যোগ্য, যারা আমাদের খেলা দেখতে তাদের অর্থ ব্যয় করে। আমি মিস করি আবেগের কণ্ঠস্বর, চিৎকারও। একজন গোলরক্ষক হিসেবে আমি গর্বিত। একজন ব্যক্তি হিসাবে বেড়ে উঠতে চাই।'

Comments

The Daily Star  | English

100 days of govt: Major steps taken towards a ‘new Bangladesh’

Despite numerous challenges, the interim government over the last 100 days has taken many timely and significant steps that align with the vision of building a “new Bangladesh”, observed Transparency International Bangladesh yesterday.

4h ago