আত্মঘাতী গোলে হৃদয় ভাঙল বেলজিয়ামের, শেষ আটে ফ্রান্স

নিজেদের কিছুটা সৌভাগ্যবান ভাবতেই পারে ফরাসিরা। আবারও ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে একটি আত্মঘাতী গোল। ফরোয়ার্ডরা যখন একের পর এক মিসে হতাশা উপহার দিচ্ছিলেন, তখন আত্মঘাতী গোলে জয় তুলে কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকিট পেল ফ্রান্স। তাতে হৃদয় ভাঙে বেলজিয়ানদের। দারুণ লড়াই করার পরও বিদায় নিতে হলো দলটিকে।

সোমবার রাতে জার্মানির ডাসেলডার্ফ অ্যারেনায় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোর ম্যাচে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে পরাস্ত করে ফ্রান্স। ম্যাচের প্রায় শেষ দিকে রেন্ডল কোলোমুয়ানির শট ইয়ান ভেরটনঘেনের পায়ে লেগে দিক বদলে জালে প্রবেশ করলে উল্লাসে মাতে ফরাসিরা। এর আগে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষেও আত্মঘাতী গোলে জয় পেয়েছিল তারা।

৫৫ শতাংশ মাঝমাঠের দখল রেখে ম্যাচে আক্রমণ বেশি করে ফ্রান্সই। মোট ১৯টি শট নেয় দলটি। এরমধ্যে লক্ষ্যে ছিল ২টি। তবে গোল করার মতো সেরা সুযোগ বেশি পেয়েছিল বেলজিয়ামই। গোলরক্ষক মাইক মাইগনানের দুর্দান্ত কিছু সেভের সঙ্গে ডিফেন্ডারও করেছেন কার্যকরী কিছু ব্লক। বিশেষকরে থিও হার্নান্দেজ প্রায় নিশ্চিত একটি গোল দারুণ ট্যাকেলে আটকে দেন।

চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ওপেন প্লে থেকে কোনো গোল করতে পারেনি ফ্রান্স। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে আত্মঘাতী গোলে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে তারা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে। এরপর পোল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচে পেনাল্টি থেকে গোল দিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। এদিনও সেই আত্মঘাতী গোল।

প্রথমার্ধে কিছুটা ঢিমেতালেই হয় দুই দলের লড়াই। তবে ২৪তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনের ফ্রিকিক গোলরক্ষকের ঠিক সামনে ড্রপ পড়লে ঠেকাতে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছিলেন মাইগনান। তবে শেষ মুহূর্তে পা দিয়ে ঠেকালে কোনো বিপদ হয়নি। ১০ মিনিট পর জুলস কুন্দের ক্রস থেকে ভালো সুযোগ ছিল মার্কাস থুরামের। ফাঁকায় হেড নিয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় ফ্রান্স। নিজেদের রক্ষণ জমাট রেখে মাঝেমধ্যে ভীতি ছড়ায় বেলজিয়ামও। ৪৯তম মিনিটে আওরেলিয়েন চুয়ামেনির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান বেলজিয়ান গোলরক্ষক কোয়েন কাস্তেলস। ৫৪তম মিনিটে এমবাপের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে এগিয়ে যেতে পারতো ফরাসিরা।

৬১তম মিনিটে দিনের সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন জানিক কারাস্কো। ডি ব্রুইনের থ্রু বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু শট নিতে দেরি কর ফেলেন। ততক্ষণ দারুণ এক ট্যাকেলে বিপদমুক্ত করেন হার্নান্দেজ। ১০ মিনিট পর রোমেলু লুকাকুর শট ঠেকিয়ে দেন মাইগনান।

৮৬তম মিনিটে ভাগ্যের সহায়তায় ডেডলক ভাঙতে পারে ফরাসিরা। কুন্দের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে থাকা কোলোমুয়ানি বল বাড়ান এনগোলো কান্তে। বল ধরে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে শট নেন। তবে সেই শট ভেরটনঘেনের পায়ে লেগে দিক বদলে জালে প্রবেশ করলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। সেই লিড ধরে রেখে জয় আদায় করে নেয় দলটি।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh, Pakistan, China launch trilateral cooperation mechanism

A working group will be formed to follow up on and implement the understandings reached during the meeting

2h ago