২০২৩ সালে পারেননি, এবার বুকে ট্যাটু করবেন সূর্যকুমার

Suryakumar Yadav

বিশ্বকাপ জিতে ট্যাটু করার ইচ্ছে ছিল সূর্যকুমার যাদবের। এই পরিকল্পনা মনে মনে এগিয়ে রেখেছিলেন তিনি গত বছর। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ভারতের হৃদয়ভঙ্গ হলে তা হয়নি। তবে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে বুকে ট্যাটু করতে যাচ্ছেন সূর্যকুমার। ভারতের এই ক্রিকেটার আরও জানিয়েছেন, ডেভিড মিলারের ক্যাচ নেওয়ার সময় তার মনে সংশয় হয়েছিলো, ট্রফি চলে যাচ্ছে নাতো! 

সূর্যকুমার প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলেন ২০২১ সালে। নিজের তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলতে এসে বার্বাডোজে শিরোপার উৎসবে মেতেছেন ২০২৪ সালে। এরপর ভারতের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, 'এখন তো এই তারিখ ও ট্রফির ট্যাটু করতে যাচ্ছি আমি। আমি এটা পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। এর আগেও এই পরিকল্পনা ছিল ২০২৩ সালে। কিন্তু তখন হয়নি। এবার আমরা পেরেছি, অবশ্যই সুন্দর মুহূর্ত।'

ট্যাটু করানোর শখ সূর্যকুমারের অনেক আগে থেকেই। তার শরীর জুড়েই রয়েছে নানান ট্যাটু। নতুন আরেকটি ট্যাটু করানোর জায়গা রয়েছে তো? সূর্যকুমার উত্তর দেন, 'কিছু জায়গা বাকি রয়েছে আমার হৃদয়ের কাছাকাছি। এটা অবশ্যই আমার হৃদয়ের কাছাকাছি (থাকার জিনিস)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিতভাবেই দেখতে পাবেন।'

ফাইনালের দিনটির মাহাত্ম্য সূর্যকুমারের জীবনে বেড়ে যাওয়ার পেছনে আরেকটি কারণও আছে। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সূর্যকুমার জানান, '২৯ জুন, ২০২৪। আমার বোনেরও জন্মদিন। জন্মদিনের পারফেক্ট উপহার তার জন্য। একইসঙ্গে (বিশ্বকাপ জেতায়) লম্বা সময় মনে রাখার মতো একটি দিন।'

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে ব্যাট হাতে ৪ বলে ৩ রান করেছেন সূর্যকুমার। কিন্তু ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন একটি ক্যাচেই। শেষ ওভারে প্রোটিয়াদের ১৬ রানের প্রয়োজন ছিল। হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বলেই মিলার প্রয়োজনটা অনেক কমিয়ে দেওয়ার অনুভূতি দেন ক্ষণিকের জন্য। কিন্তু লং অফে সূর্যকুমারের অসাধারণ ক্যাচে শেষমেশ আউটই হতে হয় মিলারকে।

এর কয়েক মুহূর্ত আগে ভারতের সমর্থকেদের হয়তো মনে হয়েছে, এই বুঝি বিশ্বকাপ গেল! সূর্যকুমারের মনেও এমন অনুভূতি উঁকি দিয়েছিল, 'এখন বলা খুব সহজ। কিন্তু (বলের সঙ্গে) ট্রফি বাউন্ডারি লাইন পেরিয়ে যাচ্ছে এবং অন্য দলের দিকে যাচ্ছে মনে হচ্ছিল। তবে হ্যাঁ, ওই সময় আপনার ভাবনায় আসে না বল বাউন্ডারি লাইন পেরিয়ে যাবে এবং ছক্কা হবে। আমার নিয়ন্ত্রণে যা ছিল, আমি চেষ্টা করেছি। বাতাসও ভালো প্রভাবক ছিল। এটা আমাকে কিছুটা সাহায্য করেছে। আমরা আমাদের ফিল্ডিং কোচের সঙ্গে অনুশীলনে এরকম ক্যাচ নিয়েছি প্রচুর। যখন ম্যাচের মধ্যে আসে, তখন এসব ক্যাচ নিতে গেলে উপস্থিত বুদ্ধি খুব গুরুত্বপূর্ণ।'

Comments

The Daily Star  | English
Banking sector crisis

Why is the banking sector crisis so deep-rooted?

The regime-sponsored immorality to protect or pamper the financial gangsters not only eroded the future of the banking sector, but also made the wound too difficult to recover from.

5h ago