এইচএসসি-সমমান

যানজট-জলাবদ্ধতায় পরীক্ষা শুরু হতে দেরি হলে অতিরিক্ত সময় পাবে পরীক্ষার্থীরা

বৃষ্টির মধ্যে কোনোভাবে নিজেকে বাঁচিয়ে কেন্দ্রে যাচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

যানজটের বা জলাবদ্ধতার জন্য কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু করতে দেরি হলে পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

আজ রোববার এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, 'আজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সাধারণত এপ্রিলে এই পরীক্ষা হয়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সময়সূচি ওলটপালট হয়েছে। আমরা ধীরে ধীরে এটাকে এপ্রিলে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।'

অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে বৃষ্টির খবরের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, 'আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে যে আগামী ৫-৭ দিন বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির কারণে আমরা পরীক্ষার্থী-অভিভাবকদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। বৃষ্টি ও যানজট মাথায় রেখে তারা যেন নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন।'  

'ইতোপূর্বে আমাদের নীতিমালায় ছিল পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এতে আমরা কিছুটা শিথিলতা এনেছি। আমরা বলেছি পরীক্ষার্থী যখনই আসবে তখনই তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিতে হবে। সে যদি ৯টায় আসে বা সাড়ে ৮টায় আসে, তাকে তখনই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। এটা আমরা নোটিশ আকারে জারি করেছি,' বলেন তিনি।

অধ্যাপক তপন আরও বলেন, 'কেন্দ্র সচিবদের আমরা বলে দিয়েছি যে পরীক্ষার্থীদের বৃষ্টির মধ্যে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে না।'

'আমরা আরও বলেছি যে যানজট বা জলাবদ্ধতার জন্য কোনো কেন্দ্রে যদি পরীক্ষা শুরু করতে দেরি হয়, আধাঘণ্টা দেরি হলে, পরীক্ষা শেষে আধা ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় পাবে পরীক্ষার্থীরা। কোথাও পরীক্ষা সাড়ে ১০টায় শুরু হলে, শেষ হবে দেড়টায়। ১১টায় শুরু করলে শেষ হবে ২টায়। যানজট-জলজট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পরীক্ষা শুরু করতে দেরি হলে শেষে ওই সময় বাড়িয়ে দেওয়া হবে,' বলেন বোর্ড চেয়ারম্যান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'কারিগরি, মাদ্রাসা ও সিলেট শিক্ষাবোর্ডকে আমরা বলে দিয়েছি ১১ আগস্ট তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হলে তাদের বোর্ডের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। দুয়েকদিনের মধ্যে রুটিন পেয়ে যাবে শিক্ষার্থীরা।'

তপন কুমার সরকার বলেন, 'প্রতি বছর পরীক্ষার আগে আমরা দেখি প্রশ্নপত্রের অনুরূপ সাজেশন তৈরি করে একটা চক্র শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে তৎপর আছে।'     

 

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

1h ago