চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের দ্রুত তদন্ত দাবি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে আর্থিক ও প্রশাসনিক অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু দুই মাস পার হলেও, এখনো পাওয়া যায়নি তদন্ত প্রতিবেদন।

অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের সব অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত দ্রুত শেষ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট চট্টগ্রাম।

ট্রাস্টের চট্টগ্রাম শাখার চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন।

বর্তমান বোর্ড সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের ফলাফল নিয়ে অনিয়ম করেছেন। তার নিজ সন্তানের ভর্তি, জিপিএ ৫ নিয়ে বাণিজ্য এবং আরও কিছু আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের তথ্য এর আগেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, এসব অনিয়মের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দুই মাস আগে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট চট্টগ্রামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ হয়ে পুরো ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা এসেছিল।

ডা. মাহফুজ বলেন, 'দুই মাস পার হলেও রহস্যজনক কারণে এই তদন্ত ফাইল চাপা পড়ে আছে। এতে সচেতন নাগরিকদের ভেতর তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা বোর্ড সচিব ও সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথ তদবির চালিয়ে তদন্ত ধামাচাপা দিয়ে রেখেছেন।'

দ্রুত তার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Made with US cotton? Pay less at US customs

Bangladesh is likely to benefit from reduced US tariffs on garment exports under a new clause that incentivises the use of American materials, potentially enhancing the country’s competitiveness in the US market.

1h ago