গাজায় ৬ লাখেরও বেশি শিশু ৮ মাস ধরে স্কুলে যেতে পারছে না: জাতিসংঘ

গাজার আল নুসেইরাত আশ্রয় শিবিরে অবস্থিত ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত এই স্কুলে বিমানহামলা চালায় ইসরায়েল। ছবি: রয়টার্স
গাজার আল নুসেইরাত আশ্রয় শিবিরে অবস্থিত ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত এই স্কুলে বিমানহামলা চালায় ইসরায়েল। ছবি: রয়টার্স

গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যামূলক আগ্রাসনের কারণে ছয় লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি শিশু গত আট মাস ধরে স্কুলে যেতে পারছে না।

আজ শুক্রবার জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ'র বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

সংস্থাটি জানায়, যুদ্ধ শুরুর আগে এই শিশুদের মধ্যে তিন লাখ ইউএনআরডিব্লিউএ পরিচালিত স্কুলগুলোতে পড়ালেখা করত।

সংস্থাটি জানায়, 'ইউএনআরডব্লিউএ সদস্যদের পরিচালিত খেলা ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম শিশুদের স্কুলে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি ও তাদের শিক্ষার অধিকার ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।'

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এতে এক হাজার ১৭০ জন নিহত হন। জিম্মি হন প্রায় ২৫০ জন।

এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সেদিনই গাজার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমানহামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে স্থলবাহিনীও এতে যোগ দেয়। গত ৭ মাসে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩৭ হাজার ৭৬৫। আহতের সংখ্যা অন্তত ৮৬ হাজার ৪২৯। হতাহতের মধ্যে ১৫ হাজারেরও বেশি শিশু।

ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্য ইউএনআরডব্লিউএর কার্যক্রম। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া
ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্য ইউএনআরডব্লিউএর কার্যক্রম। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেলের পর্যবেক্ষণ, ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় যে পরিমাণ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, বিশ্বের আর কোনো সংঘাতে তেমনটি তারা দেখেননি। আর যারা বেঁচে আছে, তারা ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে কাতর। এই শিশুদের অনেকেরই শরীরে 'কান্নার মতো পর্যাপ্ত শক্তি' অবশিষ্ট নেই। পাশাপাশি হামলায় আহত হাজারো শিশুর খবর এখনো অজানা।

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক হামলা শুরুর পর অন্তত ২১ হাজার শিশু নিখোঁজ হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক অধিকার সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।

অধিকার সংস্থাটি অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি চালুর এবং নিখোঁজ শিশুদের নিয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের জেরে এই ২১ হাজার শিশু হারিয়ে গেছে, উধাও হয়েছে, আটক হয়েছে, ভাঙা পাথরের নিচে চাপা পড়েছে অথবা গণকবরে শায়িত রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

6h ago