টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

‘এমন পিচে সেমিফাইনাল কেউ চাইবে না’, বললেন আফগানিস্তান কোচ

Jonathan Trott

এবার বিশ্বকাপে বেশিরভাগ ম্যাচে দাপট দেখিয়েছেন বোলাররা। সেমিফাইনালের মতন মঞ্চেও সেই দাপট দেখা গেল প্রবল। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের তোপে স্রেফ ৫৬ রানে গুটিয়ে উড়ে গেছে আফগানিস্তান। বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে সবচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ডেও নাম উঠেছে তাদের। বড় হারের অজুহাত না দিলেও উইকেট নিয়ে প্রশ্নে হতাশা আড়াল করলেন না আফগানিস্তানের কোচ জোনাথন ট্রট। সেই সঙ্গে সেমির আগে তাদের খেলোয়াড়রা বিশ্রামের সুযোগ পাননি বলেও জানান তিনি। 

ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে নিজেরাই আগে ব্যাটিং বেছে নেয় আফগানিস্তান। কিন্তু মার্কো ইয়ানসেন, কাগিসো রাবাদা, আনরিক নরকিয়াদের গতির ঝাঁজ সইতে পারেনি তারা। পাওয়ার প্লের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে তাদের ইনিংস। ৭ম ওভারে হারিয়ে ফেলে ২৮ রানে ৬ উইকেট।  

ত্রিনিদাদের বাইশ গজে পেসারদের কিছু বল যেমন লাফিয়েছে, কিছু আবার গড়িয়ে যেতেও দেখা গেছে। তবে বল ব্যাটে আসছিল ভালো গতিতে, আউটফিল্ডও ছিলো গতিময়। সেমিফাইনাল হারের পর এক প্রশ্নের জবাবে পিচ নিয়ে হতাশা জানান ট্রট,  'কিছু বলে আমি নিজেকে সমস্যায় ফেলতে চাই না। এটা এমন পিচ ছিলো না যেটাতে সেমিফাইনালের মতন ম্যাচ আপনি চাইবেন। এটাই সোজাসাপ্টা ব্যাপার। এটা ফেয়ার প্রতিযোগিতা থাকা উচিত বল-ব্যাটের। আমি বলছি না একদম ফ্ল্যাট হবে যেখানে স্পিন হবে না, সিম মুভমেন্ট হবে না। বলছি ব্যাটারদের ভীতির কারণ হয় এমন হওয়াও উচিত না। ফুট মুভমেন্ট যাতে তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করতে পারে এমন হওয়া উচিত। দক্ষতা কাজে লাগানোর পরিস্থিতি থাকা উচিত।' 

পিচ কঠিন হলেও প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব ও নিজেদের ব্যর্থতাকেও মেনে নেন তিনি,  'দক্ষিণ আফ্রিকা খুব ভাল বল করেছে। পিচের আচরণ কাজে লাগিয়েছে। আমাদের মিডল অর্ডার পুরো টুর্নামেন্টেই ভালো করেনি। গুরবাজ আর ইব্রাহিম ছাড়া কেউ রান করছিল না।'

গত সোমবার বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রবল উত্তেজনায় ভরা ম্যাচ বৃষ্টি বিঘ্নতায় লম্বা সময় খেলে জেতে আফগানিস্তান। ওই ম্যাচের পর সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে ত্রিনিদাদ গিয়ে সেমিতে খেলার আগে যথেষ্ট সময় পাননি ক্রিকেটাররা, সেই বিড়ম্বনাও তুলে ধরেছেন ট্রট, 'আমরা হোটেলে গিয়েছি রাত ৩টায়, সকাল ৮টায় ফ্লাইট ধরেছি। কেউ ঘুমায়নি, সবাই ক্লান্ত ছিলো। সবাই আবেগের স্রোতেও ছিলো, শারীরিক দখলও ছিলো। আমি আশা করি ছেলেরা এই অভিজ্ঞতা থেকে শিখবে। আমরা ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ থেকে এটাতে এক ধাপ আগালাম। এমন একটা পিচে দক্ষিণ আফ্রিকার মতন পেসারদের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা হলো ব্যাটারদের।'

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

6h ago