খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা একরামুজ্জামান এখন আ. লীগের উপদেষ্টা

সৈয়দ একরামুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মনোনীত হয়েছেন।

২০২২ সালের ১২ নভেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে আংশিক কমিটি ঘোষণার ১৯ মাস পর গতকাল বুধবার ২৬ জুন ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর একরামুজ্জামানের উপদেষ্টা হওয়ার বিষয়টি নজরে আসে। এদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত নতুন এই জেলা কমিটির অনুমোদন হয়।

আর এ কে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং খালেদা জিয়ার সাবেক এই উপদেষ্টা গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে ওই আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে হারিয়ে নির্বাচিত হন। 

বিগত ২০০১ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র এবং ২০০৮ এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে একই সংসদীয় আসন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১) থেকে নির্বাচন করেছিলেন একরামুজ্জামান। তবে কোনোবারই তিনি নির্বাচিত হতে পারেননি।

অনুমোদন পাওয়া নতুন জেলা কমিটির অনুলিপি দ্য ডেইলি স্টারের এই প্রতিবেদক সংগ্রহ করেছে। সেখানে দেখা যায়, নতুন কমিটিতে মোট ১৮ জনকে উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত করা হয়। এর মধ্যে, সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানের নাম ১৭ নম্বরে রয়েছে। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্তকেও উপদেষ্টা করা হয়েছে।

জানা যায়, রাজধানীর উত্তরা বোট ক্লাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন একরামুজ্জামান। এসময় গণপূর্ত মন্ত্রীও তাকে আওয়ামী লীগে বরণ করে নেন।

একরামুজ্জামান নাসিরনগর উপজেলার সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বোট ক্লাবের এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিলেন। এতে উপজেলা পরিষদ, সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জনপ্রতিনিধি অংশ নিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কারণে সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে বহিষ্কার করে বিএনপি। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কলার ছড়ি প্রতীকে ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম পেয়েছিলেন ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।

 

Comments

The Daily Star  | English
Gunfight

Local BNP leader shot dead in Dhaka’s Badda

When Kamrul was sitting on a chair on the roadside and talking with 2-3 people, two assailants on foot came from behind and shot him before fleeing the scene

2h ago