শুরুর গোলে আঘাত পেলেও আত্মবিশ্বাস হারায়নি ইতালি
ঘড়িতে সময় তখন ২৩ সেকেন্ডও পার হয়নি। এরমধ্যেই রক্ষণভাগে বড় ভুল। গোল হজম করে বসে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালি। তবে স্বাভাবিকভাবেই হতবাক ইতালিয়ান খেলোয়াড়রা। তারপরও আত্মবিশ্বাস হারায়নি দলটি। হেরে যাবেন এমনটা ভাবনাতেও আসেনি বারেল্লা-বাস্তোনিদের।
শনিবার রাতে জার্মানির ডর্টমুন্ডে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের 'বি' গ্রুপের ম্যাচে আলবেনিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইতালি। তিনটি গোলই হয় ১৬ মিনিটের মধ্যে। নেদিম বাইরামির লক্ষ্যভেদে আলবেনিয়া আচমকা এগিয়ে যাওয়ার পর দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের একাদশ মিনিটে সমতায় ফেরান আলেসান্দ্রো বাস্তোনি। পাঁচ মিনিট পর নিকোলো বারেল্লা জাল খুঁজে নিয়ে উল্লাসে মাতে ইতালি। শেষমেশ তা পরিণত হয় জয়সূচক গোলে।
শুরুর গোলে যে খেলোয়াড়দের মনোবলে আঘাত লেগেছিল তা ম্যাচ শেষে স্বীকার করে নিয়েছেন জয়ের নায়ক বারেল্লা, 'এটি একটি অদ্ভুত সূচনা ছিল, ২৩ সেকেন্ডে প্রথম গোল সত্যিই খেলোয়াড়দের মনস্তাত্ত্বিকভাবে আঘাত করতে পারে। যাইহোক, আমরা এই জয়টি চেয়েছিলাম, আমাদের আরও গোল করা উচিত ছিল। তবে আমরা এই জয় দিয়ে সঠিক সূচনা করতে পেরেছি।'
শুরুর গোলে ইতালিয়ানদের ভড়কে দিলেও আত্মবিশ্বাস হারাননি জানিয়ে আরেক গোলদাতা বাস্তোনিও বললেন, 'কেউই এমন শুরুটা আশা করেনি, যেহেতু আমাদের সম্পূর্ণ ভিন্ন খেলার পরিকল্পনা ছিল। তবে স্টেডিয়ামে তাদের ৫০ হাজার সমর্থকের এমনভাবে গোল হজম করে ছিটকে যেতে পারতাম আমরা। কিন্তু আমরা ভাল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি এবং আমি খুব গর্বিত।'
এদিন রক্ষণভাগে বাস্তোনির সঙ্গী ছিলেন রিকার্দো ক্যালাফিওরি। শুরুর গোলের পরও যে তারা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, তা জানিয়ে এই ডিফেন্ডার বললেন, 'এত তাড়াতাড়ি গোল খেয়ে শুরু করা সহজ ছিল না, কিন্তু আমরা হারতে পারি এমন সম্ভাবনার কথাও ভাবিনি।'
ইউরোতে এবার বেশ শক্ত গ্রুপেই পড়েছে ইতালি। স্পেন ও ক্রোয়েশিয়াকে নিয়ে গঠিত গ্রুপকে মৃত্যুকূপ মানছেন সবাই। যে কারণে আলবেনিয়ানদের বিপক্ষে এই জয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল আজ্জুরিদের জন্য। একই দিনে অপর ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্পেন।
Comments