জনগণকে তথ্য দিতে গড়িমসি করলে শাস্তি পেতে হবে: প্রধান তথ্য কমিশনার
তথ্য দিতে গড়িমসি করলে তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে এবং শাস্তি পেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আব্দুল মালেক।
বুধবার বিকেলে মানিকগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ বিষয়ে জনঅবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আব্দুল মালেক বলেছেন, 'এদেশে জনগণ তথ্যের মালিক। আর সরকারি কর্মকর্তারা হলেন তথ্যের হেফাজতকারী, সংগ্রহকারী ও সংরক্ষণকারী। এটি কোনো সুযোগ নয়। তথ্য জনগণের অধিকার।'
তিনি বলেন, 'তথ্যের যদি অবাধগম্যতা না থাকে, তাহলে বদ্ধ জলাশয়ের মতো এটি ক্ষতি করতে পারে। এটিকে প্রবাহমান রাখা, মানুষের কাছে পৌঁছানো আমাদের দায়িত্ব। জনগণকে তথ্য দেওয়ার জন্য প্রতিটি অফিসে তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা আছেন।'
'মানব দেহের মতো সমাজও একটি দেহ। সেই দেহের সব ইকো সিস্টেমকে, ইনফরমেশন ইকো সিস্টেমকে নষ্ট করে দিচ্ছে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার অপতথ্য বা মিসইনফরমেশন, ফেক ইনফরমেশন, হেট স্পিচ, ফেক নিউজ। এগুলোর কোনো সত্যাসত্য অনুসন্ধান না করে এগুলো দিয়ে দেওয়া হয়। আর সেখানে যদি প্রকৃত তথ্য ওপেন না থাকে, মানুষ যদি তথ্য না পায়, তাহলে এই অসত্য ছড়িয়ে যায়। এই কারণে আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে দূরীভূত করতে চাই অপতথ্যকে, গুজবকে, মিথ্যা তথ্যকে। এটা যদি করতে হয় সবারই সহযোগিতা প্রয়োজন।'
তিনি আরও বলেন, 'তথ্য চেয়ে আবেদন করলে তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তাকে অবশ্যই তথ্য দিতে হবে। তথ্য প্রদানে গড়িমসি করলে তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে, শাস্তি পেতে হবে। এই তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ সালে পাস হলেও এখনো এই আইন সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। এ কারণেই এই জনঅবহিতকরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।'
জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী, সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন কুমার সরকার।
তথ্য কমিশন ও জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই সভায় অংশ নেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
Comments