ড. ইউনূসের মামলা বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে যা বললেন আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, 'ড. ইউনূস যেসব কথা বলে বেড়াচ্ছেন, সেসব কথা অসত্য এবং সেসব কথা বাংলাদেশের জনগণের জন্য অপমানজনক।'

আজ বুধবার সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আইনমন্ত্রী।

তিনি জানান, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে শ্রম আইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আইন, ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বিষয়ে কথা হয়েছে। এ ছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের রিপোর্টের বিষয়ে বাংলাদেশের চিন্তাভাবনা, রোহিঙ্গা এবং অ্যান্টি ডিসক্রিমিনেশন বিলও আলোচনায় জায়গা পেয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, 'তারা আমাকে ইউনূস সাহেবের মামলার ব্যাপারেও জিজ্ঞাসা করেছিলেন। সেই ব্যাপারেও কথা হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'ড. ইউনূসের ব্যাপারে ওনাদের দেশ থেকে অনেক প্রশ্ন আসছে। এ জন্য তারা ব্যাপারটা নিয়ে পরিষ্কার হতে চাচ্ছিলেন। আমি তখন বলেছি, ড. ইউনূসের ব্যাপারে কী কী মামলা আছে।'

'প্রথম যে মামলা আছে, তিনি শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন এবং সেখানে মামলা হয়েছে, তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। ১০৮ জন শ্রমিক ব্যক্তিগতভাবে মামলা করেছেন। সেখানে তারা কয়েকজন বলেছেন, যার বিরুদ্ধে তারা নালিশ করেছেন, তিনি ড. ইউনূস।'

'তিনি তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি ক্ষতিপূরণ দেবেন, তাই তারা পিটিশনগুলো তুলে নিয়েছে। আরও অনেকের মামলা পেন্ডিং আছে।'

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি মামলা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'মামলাটা আদালতে চলমান। আদালতে মামলা চলমান থাকলে তার ব্যাপারে আইনমন্ত্রী কোনো কথা বলেন না। সেটাও তাদের (ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলকে) বলেছি।'

আনিসুল হক বলেন, 'আরেকটা বিষয় যেটা আমি বলেছি, তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলা আছে। সেটার একটা মামলায় তিনি আপিল বিভাগ পর্যন্ত গিয়ে হারার পরে কর দিয়েছেন এবং আরও মামলা আছে কর ফাঁকির।'

তিনি বলেন, 'আমি সেখানেও বলেছি, কর ফাঁকির বিষয়ে মামলাকে তাদের দেশ এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা বলে মনে করে। ঠিক সেইভাবেই তার (ড. ইউনূস) বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। দেশের যেকোনো নাগরিক দেশের আইন ভঙ্গ করলে তার যেমন বিচার হয়, ড. ইউনূসেরও ঠিক সেভাবেই বিচার হচ্ছে।'

এর আগে তিনি বলেন, 'শ্রম আইন আমরা কবে পাস করতে যাচ্ছি, সেটা জানতে চেয়েছিলেন। আমরা বলেছি, আমাদের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের বোর্ডে যে নালিশ করা হয়েছিল, সেটার শেষ আমরা চাই। আমরা বলেছি যে আমরা শ্রম অধিকারের ব্যাপারে এবং শ্রম আইন সংশোধনের ব্যাপারে যথেষ্ট কাজ করেছি।'

'এ পর্যায়ে তারা বলেছেন যে তারা এটা নিয়ে চিন্তা করবেন এবং আগামী নভেম্বরে তাদের বোর্ড মিটিংয়ে আমাদের সমর্থন দেবেন,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles; properties vandalised

3h ago