বেনজীরের সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ দেবে দুদক, জবাব না পেলে মামলা

বেনজীর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিবরণী চেয়ে নোটিশ দেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

সময়মতো নোটিশের জবাব না দিলে বিধি মোতাবেক মামলা করতে প্রস্তুত কমিশন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, বেনজীর, তার স্ত্রী-মেয়েরা দ্বিতীয় সমনে হাজির না হলে কঠোর অবস্থানে যাবে কমিশন।

দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে দুদক আইনের ২৬ (১) ধারায় সম্পদ ঘোষণার নোটিশ জারি করা হবে। এতে অসহযোগিতা করলে বিষয়টি মামলার দিকে গড়াবে।'

গণমাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর গত ১৮ এপ্রিল এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে দুদক।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বেনজীরের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেন। পরে বেনজীরকে ৬ জুন ও তাদের স্ত্রী-কন্যাদের ৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক।

তারা নির্দিষ্ট তারিখে হাজির না হয়ে আবেদন করলে, দুদক ২৩ জুন বেনজীরের এবং ২৪ জুন তাদের স্ত্রী ও দুই মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের নতুন তারিখ নির্ধারণ করে।

দুদক আইনের ২৬ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কমিশন তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান পরিচালনার পর যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোনো ব্যক্তি, বা তাহার পক্ষে কেউ বৈধ উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের দখলে আছেন বা মালিকানা অর্জন করেছেন তাহলে কমিশন লিখিত আদেশ দিয়ে ব্যক্তিকে দায়-দায়িত্বের বিবরণ দাখিলসহ যেকোনো তথ্য দাখিলের নির্দেশ দিতে পারবে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, 'তদন্তাধীন সম্পদ অভিযুক্তের আয়ের জ্ঞাত উৎসের চেয়ে বেশি পাওয়া গেলে দুদক আইনের ২৭ (২) ধারায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করা যায়।'

২৭ (২) ধারায় বলা আছে, যদি প্রমাণিত হয় যে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজ নামে বা তার পক্ষে অন্য কারও নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা অর্জন করেছেন বা দখলে আছেন, তাহলে আদালত অনুমান করবে অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই অপরাধে দোষী। যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে এ অনুমান খণ্ডন করতে না পারেন, এর ওপর ভিত্তি করে দেওয়া কোনো দণ্ড অবৈধ হবে না।

জানতে চাইলে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেন, 'আইনগত নির্দেশনা মেনেই (বেনজীরের সম্পদের) তদন্ত চলছে।'

তিনি বলেন, 'তদন্তকারী কর্মকর্তা আইন ও বিধি অনুযায়ী কাজ করছেন।'

 

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago