তথ্য নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা চলবে না: প্রধান তথ্য কমিশনার

অনুষ্ঠানে প্রধান তথ্য কমিশনারসহ অন্যরা। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক বলেছেন, 'তথ্য উন্মুক্ত করার জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠান তা করছে না। আমরা এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছি।'

তিনি আরও বলেন, 'স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাইলে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। তথ্য নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা চলবে না। তথ্য প্রকাশে বাধ্যবাধকতা থাকায় কোনো কর্তৃপক্ষই ভবিষ্যতে ছাড় পাবে না।'

রোববার ঢাকায় তথ্য কমিশন অফিসে ঢাকার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে 'তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯' বিষয়ে প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান তথ্য কমিশনার এসব কথা বলেন।

ড. মালেক বলেন, '২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার তথ্যপ্রাপ্তিকে জনগণের সুযোগ নয়, অধিকার হিসেবে নিশ্চয়তা দিয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে নিজে থেকেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে তথ্য প্রকাশ করতে হবে। প্রকাশযোগ্য তথ্য ওয়েবসাইটে নিয়মিত হালনাগাদ করে দিতে হবে।'

'নোটিস বোর্ড, বিল বোর্ড ও বার্ষিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে স্ব-প্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অব্যাহত রাখতে হবে' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের এই সন্ধিক্ষণে তথ্যকে অবারিত করা ছাড়া বিকল্প নেই। 'চাইলে তথ্য জনগণ—দিতে বাধ্য প্রশাসন' এই মন্ত্রকে ভুলে যাওয়ার অবকাশ নেই।

বিশ্বে ১৪০টি দেশে তথ্য অধিকার আইন রয়েছে। জনগণের তথ্যপ্রাপ্তি, অভিযোগ নিষ্পত্তি, স্ব-প্রণোদিত তথ্য প্রকাশ, ওয়েবসাইট হালনাগাদ প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ২৭তম অবস্থানে।

তথ্য কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, তথ্য অধিকার আইনে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে ২০২৩ পর্যন্ত দাখিলকৃত আবেদনের সংখ্যা এক লাখ ৫৬ হাজার ৬৬৫টি। এর মধ্যে সাংবাদিক আবেদনকারীর সংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ও মাসুদা ভাট্টি বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া ঢাকা জার্নালের এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এবং এমআরডিআইর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান মুকুর এতে বিশেষ রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

No bank closures despite financial struggles: Salehuddin

The adviser made these remarks today during a press conference at the Secretariat in Dhaka

2h ago