‘মালয়েশিয়া যেতে পারেনি ১৭ হাজার কর্মী, দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: স্টার

বৈধ ভিসা থাকার পরও শেষ সময়ে এসে কর্মীদের মালয়েশিয়া যেতে না পারার জন্য দায়ীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি করার কথা জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

ছয় সদস্যের এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে কর্মসংস্থান অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হককে। কমিটিকে আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠাতে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানের পাশাপাশি বিদেশে যেতে ইচ্ছুকদের হয়রানি বন্ধ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে সুপারিশ করতে বলা হয়েছে।

আজ রোববার বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, গত ৩১ মে পর্যন্ত জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন মালয়েশিয়া গেছেন। সেই হিসাবে প্রায় ১৬ হাজার ৯৭০ জন যেতে পারেননি।

কর্মী ভিসায় মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সময় শেষ হয়েছে গত শুক্রবার। মালয়েশিয়া সরকার বেশ কিছুদিন আগেই কর্মী পাঠানোর সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে এই সময়সীমা জানিয়ে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়া যেতে না পেরে গত শুক্রবার বিমানবন্দর থেকে অনেক মানুষ ফিরে গেছেন।

দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, তদন্ত কমিটি ব্যর্থ রিক্রুটিং এজেন্সি চিহ্নিত করার কাজও করবে।

তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠাতে সরকার আন্তরিক ছিল। পত্রিকায় এ সংক্রান্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মীদের পাঠাতে অতিরিক্ত ২৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে।

সিন্ডিকেটের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যে দেশ জনশক্তি নেবে তারা চায় বলেই সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। সরকার কোনো সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করে না। সরকার অনুমোদিত সকল এজেন্সিগুলো যেন লোক পাঠাতে পারে, সেটা চায় সরকার।

মালয়েশিয়ার শ্রমমাজার শিগগিরই খোলার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী বলেন, বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন জানান, ২৪ মের পর থেকে যাদের টিকিট ছিল শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কাউকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

8h ago