জুয়া খেলে ৩ মাস নিষিদ্ধ ইংল্যান্ডের ব্রাইডন কার্স
ক্রিকেটারদের মাঠের খেলা নিয়েই বাইরে থেকে বাজি ধরা হয়। স্বয়ং ক্রিকেটার জুয়া খেলেছেন, এমন খবর এবার বেরিয়ে এলো ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অনুসন্ধানে। ইংল্যান্ডের সম্ভাবনায় পেসারদের একজন যাকে ধরা হয়, সেই ব্রাইডন কার্সের বিরুদ্ধে ৩০৩টি বাজি ধরার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে ডারহামের এই পেসার পেয়েছেন তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা।
জুয়ায় জড়িত থাকলেও ম্যাচ ফিক্সিংয়ে কার্সের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়নি ইসিবির দায়িত্বরত নতুন স্বাধীন বিভাগ 'ক্রিকেট রেগুলেটর'। যেসব ম্যাচে বাজি ধরেছিলেন তিনি, সেসব ম্যাচে তিনি খেলেননি। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তিনশর বেশি বাজি ধরে মূলত ১৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন এই ইংলিশ পেসার, যার ১৩ মাস হচ্ছে স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। তার তিন মাসের শাস্তির মেয়াদ শুরু হয়েছে গত ২৮ মে থেকে। এটি শেষ হবে আগামী ২৮ আগস্টে গিয়ে। এই সময়ে কোনো ধরনের স্বীকৃত ক্রিকেট খেলতে পারবেন না তিনি।
কার্স গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'বাজিগুলো কয়েক বছর আগে ধরলেও অজুহাত হিসেবে এটিকে দাঁড় করাতে চাই না। আমি আমার কার্যকলাপের সব দায় (মাথা পেতে) নিচ্ছি। আমি ইসিবি, ডারহাম ও প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এই কঠিন সময়ে আমাকে সমর্থন দেওয়ায়। আপনারা আমাকে যে সমর্থন দিচ্ছেন, তা মাঠের খেলায় যেন শোধ করতে পারি সেটা নিশ্চিত করতে আগামী ১২ সপ্তাহ আমি কঠোর পরিশ্রম করব।'
ইংল্যান্ডের হয়ে এ পর্যন্ত ১৪টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই ডানহাতি পেসার। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে রিস টপলি ইনজুরিতে পড়ে গেলে তাকেই বদলি হিসেবে ভারতে ডেকেছিল ইংল্যান্ড। দেশটির ক্রিকেট বোর্ড পেস বিভাগের ভবিষ্যৎ হিসেবে যাদেরকে ভাবে, তিনি তাদের একজন। ২৮ বছর বয়সী কার্সকে ইসিবি গত বছর কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও যুক্ত করেছে। তার সঙ্গে করা দুই বছরের চুক্তিতে অবশ্য নিষেধাজ্ঞার ঘটনা প্রভাব ফেলবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগামী জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ড। ১০ তারিখ শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টের পর অবসরে চলে যাবেন অভিজ্ঞ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। কিন্তু নিষিদ্ধ হওয়ায় তার বিকল্প হিসেবে কার্সের বিবেচনায় আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
Comments