হৃদয়-তানজিদ-রিশাদের বড় লাফ, শান্ত-লিটন-সাকিবের অবনতি
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বিবর্ণ পারফরম্যান্সে অপ্রত্যাশিতভাবে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিলেন তাওহিদ হৃদয়, তানজিদ হাসান তামিম ও রিশাদ হোসেন। তবে তরুণদের উন্নতি হলেও অবনতি হলো অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানের মতো অভিজ্ঞদের।
বুধবার খেলোয়াড়দের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। আগামী ২ জুন শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এটাই শেষ সাপ্তাহিক হালনাগাদ। ব্যাটারদের মধ্যে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের সুরিয়াকুমার যাদব। বোলারদের মধ্যে আগের মতোই এক নম্বরে আছেন ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ।
টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়েছেন ডানহাতি হৃদয়। তিনি এখন অবস্থান করছেন ৬০তম স্থানে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ২-১ ব্যবধানে হারা সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ মিলেছিল তার। মিডল অর্ডারে যথাক্রমে ৫৮ ও ২৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
হৃদয়ের চেয়েও বড় লাফ দিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ। সেরা একশতে ঢুকে তিনি আছেন যৌথভাবে ৮৪ নম্বরে। তার উন্নতি হয়েছে ৩৪ ধাপ। বলা বাহুল্য, এটি তার ক্যারিয়ারসেরা র্যাঙ্কিং। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৯ রানে সাজঘরে ফিরলেও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের ১০ উইকেটের রেকর্ড জয়ে ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তানজিদ।
সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে লেগ স্পিনার রিশাদের। বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে ৩৮ ধাপ এগিয়েছেন তিনি। তিনি অবস্থান করছেন ৫২তম স্থানে। তার রেটিং পয়েন্ট ৪৭৩। ক্যারিয়ারসেরা র্যাঙ্কিং ও রেটিং উভয়ই অর্জন করেছেন রিশাদ। আমেরিকানদের বিপক্ষে খেলা তিন ম্যাচের সিরিজে আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।
ফর্মহীনতায় ভোগা ডানহাতি ওপেনার লিটন দাস ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার উপরে আছেন। তার স্থান ৪০ নম্বরে। যদিও পাঁচ ধাপ অবনতি হয়েছে তার। সবশেষ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৪ রানে আউট হয়েছিলেন লিটন। দ্বিতীয়টিতে বাদ পড়ার পড় তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে একাদশে ফিরলেও ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি তাকে।
দলনেতা শান্তও নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। চার ধাপ পিছিয়ে তিনি আছেন যৌথভাবে ৪৪তম স্থানে। স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলা দুটি ইনিংসে বাঁহাতি ব্যাটার শান্তর স্কোর ছিল যথাক্রমে ৩ ও ৩৬।
তিন র্যাঙ্কিংয়েই অবনতি হয়েছে সাকিবের। সবশেষ সিরিজে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৬ রান করেছিলেন তিনি। আর তিন ইনিংসে হাত ঘুরিয়ে নিয়েছিলেন স্রেফ ১ উইকেট। ব্যাটিংয়ে তিন ধাপ পিছিয়ে তিনি আছেন যৌথভাবে ৮২ নম্বরে। বোলিংয়ে ৩১ নম্বরে থাকা সাকিব নিচে নেমেছেন এক ধাপ। আর অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানই হাতছাড়া হয়েছে তার। সাকিব দুইয়ে নেমে যাওয়ায় এক নম্বরে উঠে গেছেন শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবার উপরে আছেন বাঁহাতি মোস্তাফিজুর রহমান। তার উন্নতি হয়েছে দুই ধাপ। তিনি আছেন ২৩ নম্বরে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড ৬ উইকেটসহ গোটা সিরিজে মোট ১০ উইকেট শিকার করেছিলেন মোস্তাফিজ। সিরিজসেরার পুরস্কারও জিতেছিলেন তিনি।
Comments