শাকিব খানের ২৫ বছর: ২৪৯ সিনেমায় ৭০ নায়িকা আর...
শাকিব খান অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা 'অনন্ত ভালোবাসা'। মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালের ২৮ মে। সেই হিসেবে তার অভিনয় জীবনের ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে।
বর্তমানে দেশীয় সিনেমার শীর্ষ নায়কের আসনে রয়েছেন শাকিব খান। দীর্ঘ এই অভিনয় জীবনে অর্জন করেছেন চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। 'ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না', 'খোদার পরে মা', 'আরও ভালোবাসবো তোমায়' ও 'সত্তা' সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।
শাকিব খান অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার সংখ্যা ২৪৯। সর্বশেষ গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে হিমেল আশরাফ পরিচালিত 'রাজকুমার'।
২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া তপু খান পরিচালিত 'লিডার: আমিই বাংলাদেশ', তারপর হিমেল আশরাফ পরিচালিত 'প্রিয়তমা' সিনেমা দুটি মুক্তির পর অভিনয়ের জন্য নিজের পারিশ্রমিক এক কোটি টাকা নির্ধারণ করেছেন শাকিব খান।
প্রযোজনা সংস্থা ভার্সেটাইল মিডিয়ার তথ্যমতে, 'প্রিয়তমা' সিনেমাটি সারা বিশ্বে প্রায় ৪১ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।
ঈদে মুক্তি পাওয়া সর্বোচ্চ সিনেমা শাকিব খানের দখলে। তার অভিনীত ৯৪টি সিনেমা ঈদে মুক্তি পেয়েছে। দুই বাংলা মিলিয়ে সিনেমার গানের সবচেয়ে বেশি ভিউ তার দখলে। শাকিব ও মিশা সওদাগর নায়ক-ভিলেন জুটি হিসেবে সর্বোচ্চ ১২৬টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। বাংলাদেশের নায়ক হিসেবে প্রথম প্যান ইন্ডিয়ান 'দরদ' সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
চলচ্চিত্রের শীর্ষ এই নায়ক দেশ-বিদেশের ৭০ জন নায়িকার বিপরীতে অভিনয় করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি অভিনয় করেছেন অপু বিশ্বাসের বিপরীতে। এই জুটি সর্বমোট ৭২টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
এই জুটির উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে 'কোটি টাকার কাবিন', 'চাচ্চু', 'দাদীমা', 'পিতার আসন', 'তোমার জন্য মরতে পারি', 'সন্তান আমার অহংকার', 'মনে প্রাণে আছ তুমি', 'ঢাকার কিং', 'মাই নেম ইজ খান', 'হিরো-দ্য সুপারস্টার', 'লাভ ম্যারেজ', 'রাজনীতি, 'সম্রাট' ইত্যাদি।
শাকিব খান ও শবনম বুবলি জুটি সর্বমোট ১১টি সিনেমায় অভিনয় করেছে। তাদের উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে 'বসগিরি', 'বীর', 'পাসওয়ার্ড', 'লিডার—আমিই বাংলাদেশ' ইত্যাদি।
চলচ্চিত্র জীবনের ২৫ বছরে চরিত্রের প্রয়োজনে নানান লুকে দেখা গেছে শাকিব খানকে। তবে দর্শক তার 'রাফ অ্যান্ড টাফ' লুক বেশি পছন্দ করে।
তার এমন লুক প্রথম নজরে আসে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজিত 'শিকারি' সিনেমায়। অবশ্য দেশীয় 'সম্রাট' সিনেমায় অন্যলুকে তাকে দেখা গিয়েছিল।
তারপর 'নবাব', 'ভাইজান এলো রে' সিনেমাগুলোতে নতুন নতুন লুকে দেখা যায় তাকে। সবকিছু ছাপিয়ে ২০২৩ সালে 'প্রিয়তমা' সিনেমার বৃদ্ধ লুক ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবচেয়ে আলোচিত। 'তুফান' সিনেমায় তার লুকও পছন্দ করেছে দর্শক।
শাকিব খানের সিনেমার জীবন বদলে যায় ২০০৬ সালে—'কোটি টাকার কাবিন' মুক্তির পর। সিনেমাটি পরিচালনা করেন এফ আই মানিক। এই সিনেমার পর নিজের মজবুত আসন গড়ে তোলেন তিনি।
আরেক দর্শকপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের বিপরীতে 'গোলাম' সিনেমায় অভিনয় করেও আলোচনায় আসেন ঢাকাই সিনেমার এই শীর্ষ নায়ক। তবে ২০১৬ সালে 'শিকারি' সিনেমা মুক্তির পর দর্শক নতুনভাবে তাকে আবিষ্কার করেন।
শাকিব খান অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে 'আমার প্রাণের স্বামী', 'প্রিয়া আমার প্রিয়া', 'আমার স্বপ্ন তুমি', 'তুমি স্বপ্ন তুমি সাধনা', 'এক বুক জ্বালা', 'সন্তান আমার অহংকার', 'বলবো কথা বাসর ঘরে', 'ডন নাম্বার ওয়ান', 'সম্রাট', 'রাজনীতি', 'শিকারি', 'নবাব', 'চালবাজ', 'লাভ ম্যারেজ', 'খুনি শিকদার', 'সিটি টেরর', 'আরো ভালোবাসবো তোমায়', 'ভাইজান এলো রে', 'সত্তা', 'বীর', 'পাসওয়ার্ড', 'নবাব এলএলবি', 'নাকাব', 'প্রিয়তমা', 'রাজকুমার' ইত্যাদি।
Comments