তাইওয়ানের চারপাশে চীনের সামরিক মহড়া ‘উদ্বেগজনক’: যুক্তরাষ্ট্র

তাইওয়ানের সমুদ্র বন্দর কিনমেনের কাছে জাহাজ দেখা যাচ্ছে। ছবি: এএফপি
তাইওয়ানের সমুদ্র বন্দর কিনমেনের কাছে জাহাজ দেখা যাচ্ছে। ছবি: এএফপি

আজ সকাল থেকে তাইওয়ানের চারপাশে বড় আকারে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

মার্কিন লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্টিফেন স্ক্লেঙ্কা আজ বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেন, 'স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের চারপাশে চীনের সামরিক মহড়া প্রত্যাশিত হলেও উদ্বেগজনক।'

মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের উপ-কমান্ডার স্ক্লেঙ্কা ক্যানবেরায় সাংবাদিক ও উপস্থিত জনতাকে বলেন, 'সত্য বলতে, এরকম কিছু হবে, এটাই আমরা প্রত্যাশা করছিলাম।'

'তবে আমরা (চীনের কাছ থেকে) এমন ব্যবহার প্রত্যাশা করেছি বলেই এর অর্থ এটা নয় যে আমরা এতে নিন্দা জানাব না এবং আমাদেরকে প্রকাশ্যেই (চীনের এই উদ্যোগের প্রতি) নিন্দা জানাতে হবে', যোগ করেন তিনি। 

স্ক্লেঙ্কা মন্তব্য করেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেরও উচিৎ চীনের এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে কথা বলা।

মার্কিন সামরিকবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্ক্লেঙ্কা সাংবাদিকদের বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র চীনের নিন্দা করলে তাতে কিছুটা কাজ হয়। কিন্তু আমার বিশ্বাস, যখন এ অঞ্চলের অন্যান্য রাষ্ট্র নিন্দা জানায়, তখন তার প্রভাব আরও অনেক বেশি হয়।'

স্ক্লেঙ্কা আরও জানান, তিনি বিশ্বাস করেন চীনের এই সামরিক মহড়ার 'লক্ষ্য' আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নয়, বরং তাদের নিজেদের জনগণকে 'দেখাতে' এই আয়োজন।

চীনের সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময়য় সকাল পৌনে ৮টায় তাইওয়ান প্রণালি, তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বে মহড়া শুরু করেছে চীনের সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড।

পাশাপাশি তাইওয়ানের কিনমেন, মাতসু, উকিয়ু এবং ডঙিন দ্বীপপুঞ্জের চারপাশেও মহড়া চালিয়েছে চীন।

চীনের সামরিক মুখপাত্র লি সি বলেন, 'বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড চালানোর কঠোর শাস্তি হিসেবে এই মহড়া চালানো হয়েছে। এ ছাড়া বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপ ও উসকানির বিরুদ্ধেও কড়া সতর্কবার্তা ছিল এই মহড়া।'

'তাইওয়ানের স্বাধীনতার' নামে বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে বলে তিনি হুশিয়ারি দেন।

গত সোমবার তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে শপথ নেন।

এর তিন দিন পর নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করল চীন।

শপথ গ্রহণের পর বেইজিংকে 'ভীতি প্রদর্শন' বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন লাই চিং-তে।

চীন তাইওয়ানেকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে এবং ভবিষ্যতে কোন এক সময় বল প্রয়োগের মাধ্যমে এই স্বশাসিত দ্বীপকে পরাভূত করার সম্ভাবনাকে 'উড়িয়ে দেয়নি' দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্র 'এক চীন' নীতিতে বিশ্বাসী এবং তাইওয়ানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করলেও দুই দেশের কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।

Comments

The Daily Star  | English

HC questions legality of Faruque’s removal from office of BCB president

The current BCB led by Aminul Islam Bulbul as its president will continue running functions

44m ago