ভোটারশূন্য কেন্দ্রে লুডু খেলছেন ২ আনসার সদস্য

উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি
মোবাইলে লুডু খেলছেন দুই আনসার সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম।

সরেজমিনে সকাল ৮টা থেকে থেকে ১১টা পর্যন্ত ঢাকার সাভার উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের তেমন একটা উপস্থিতি চোখে পড়েনি। ভোটারশূন্য কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের মোবাইল ফোনে লুডু খেলেতেও দেখা গেছে। কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোট শুরুর দুই ঘণ্টা পেরোলেও একটিও ভোট পড়েনি।

সকাল ১০টার দিকে সাভারের আশুলিয়ার ডেন্ডাবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে দেখা যায়, দুইজন আনসার সদস্য মোবাইল ফোনে লুডু খেলছেন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, ভোটার নেই, তাই তারা লুডু খেলছেন।

ডেন্ডাবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এক নম্বর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ওসমান গনী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, কেন্দ্রটিতে ভোটার রয়েছে দুই হাজার ৪৫ জন। সকাল ১০টা পর্যন্ত সেখানে একটি ভোটও পড়েনি।

ওই বিদ্যালয়ের দুই নম্বর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন মন্ডল বলেন, সেখানে ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৫১ জন। ভোট শুরুর দুই ঘণ্টায় সেখানেও কোনো ভোট পড়েনি।

সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সাভারের ডেইরি ফার্ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে থেকে দেখা যায়, কেন্দ্রটিতে ভোটারের উপস্থিতি নেই। ভোট শুরুর অনেকটা পর কেন্দ্রটিতে প্রার্থীদের বেশ কয়েকজন পোলিং এজেন্ট আসেন। কেন্দ্রটিতে আনসার সদস্য, পুলিশ সদস্য, পোলিং এজেন্ট, পোলিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার ও গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া কেউ ছিল না তখন। ৩০ মিনিটে কেন্দ্রটিতে একজন ভোটারকে ভোট দিতে দেখা গেছে।

ডেইরি ফার্ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান ডেইলি স্টারকে বলেন, সকাল বলে ভোটার উপস্থিতি কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে। কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার সংখ্যা এক হাজার ২২৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৬১ ও নারী ভোটার ৫৬৪ জন।

এ ছাড়া সকালে উপজেলার সাভার সরকারি কলেজ, নিউ ক্যামব্রিজ, কোন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, এসব কেন্দ্রের অধিকাংশই ভোটারশূন্য। এসব কেন্দ্রের কোনোটিতেই ভোটারদের কোনো লাইন দেখা যায়নি।

কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, প্রথম ঘণ্টায় ভোটারদের কাছ থেকে তেমন সাড়া পাননি তারা। ভোটার সংখ্যা কম থাকায় অনেকটা অলস সময় পার করছেন কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্টসহ অন্যান্যরা।

স্থানীয়রা বলছেন, মূলত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মূল আকর্ষণ 'চেয়ারম্যান' পদে এবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মঞ্জুরুল আলম রাজীব নির্বাচিত হওয়ায় স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে এই নির্বাচন নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ নেই। এজন্যই ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি নেই।

দুপুর ১২টা পর্যন্ত সাভারে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলায় নয় লাখের বেশি ভোটার রয়েছে।

Comments