নিপুণের আলোচনায় থাকার ম্যানিয়া হয়ে গেছে: সোহেল রানা

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিজ বাসায় দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে সোহেল রানা। ছবি: শাহ আলম সাজু/স্টার

পঞ্চাশ বছর ধরে ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় করছেন সোহেল রানা। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, একসময় নামকরা ছাত্রনেতা ছিলেন। তার অভিনীত অনেক সিনেমা সুপারহিট হয়েছে। আজীবন সম্মাননাসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। নায়ক ছাড়াও চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, শিল্পী সমিতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন পরবর্তী সমিতির কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে নিপুণের করা রিট নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন একসময়ের সাড়া জাগানো নায়ক সোহেল রানা।

সোহেল রানা বলেন, 'নিপুণের কোর্টে যাওয়া কিন্তু এই নিয়ে দুবার হলো। কেন যাচ্ছে সে? আমি মনে করি আলোচনায় থাকার জন্য। একটা নির্বাচন হলো, সবাই দেখলেন। পরাজিত প্রার্থী হিসেবে সে মেনেও নিল, ফুলের মালা পড়াল, তারপর হঠাৎ মামলা? কেন? আমি বুঝতে পারছি না।'

তিনি আরও বলেন, 'নিপুণের আলোচনায় থাকার ম্যানিয়া হয়ে গেছে। এটা আমার মতামত। আলোচনায় থাকতে চাইছে হয়ত। তা ছাড়া কী হবে? সবার হাতে তো কাজ নেই। সিনেমাও কম হচ্ছে। কেউ যদি মনে করে কিছু একটা করে আলোচনায় থাকবে। সেখানে কিছু বলার নেই।'

'আমরা যখন দিনের পর দিন শুটিং করেছি, সংগঠন করেছি, তখনো যে ঝুট-ঝামেলা হয়নি তা নয়। মনোমালিন্য হয়নি তা-ও নয়। কিন্তু কোর্ট কাচারি হয়নি। আমরা নিজেরা বসে সমাধান করেছি। শিল্পী হিসেবে সম্মান রেখেছি সবার,' বলেন তিনি।

সিনিয়র শিল্পীদের কাছে না গিয়ে কোর্টে যাওয়া নিপুণের ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন মাসুদ রানা খ্যাত এই নায়ক।

তিনি বলেন, 'নিপুণ তো সিনিয়র শিল্পীদের কাছে আসেনি? আসতে পারত। আসা উচিত ছিল। আমরা কয়েকজন সিনিয়র শিল্পী এখনো বেঁচে আছি। তার তো ভাবা দরকার ছিল একটিবার হলেও সিনিয়রদের কাছে যাই। তা করেনি। সিনিয়র শিল্পীদের কাছে না গিয়ে কোর্টে কেন গেল এটা বুঝতে পারছি না। এর কোনো কারণও খুঁজে পাই না। এটা দু:খজনক।'

গত ১৫ মে ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Drug sales growth slows amid high inflation

Sales growth of drugs slowed down in fiscal year 2023-24 ending last June, which could be an effect of high inflationary pressure prevailing in the country over the last two years.

17h ago