ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে মার্কিন দূতাবাসের দিকে গণসংহতির মিছিল

মার্কিন দূতাবাসের পথে গণসংহতির গণহত্যাবিরোধী মিছিল
আজ বৃহস্পতিবার সকালে মার্কিন দূতাবাসের পথে ছাত্র ফেডাররেশনের উদ্যোগে ছাত্র-জনতার মিছিলে একাত্মতা প্রকাশ করে যোগ দেয় গণসংহতি আন্দোলন। ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা ও যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের মিছিল ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের দিকে রওনা দেয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর নতুন বাজার এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়।

সে সময় 'ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি' স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে নতুন বাজার এলাকা।

ছাত্র ফেডাররেশনের ডাকে ছাত্র-জনতার এ মিছিলে একাত্মতা প্রকাশ করে যোগ দেয় গণসংহতি আন্দোলন। 

গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ বলা হয়, গাজায় ইসরায়লি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন লাখো মানুষ। পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও খাবারের অভাবে অনেকে মারা গেছেন। ইসরায়লি বাধার মুখে পর্যাপ্ত ত্রাণ কার্যক্রমও চালাতে পারছে না আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।

ইতোমধ্যেই সারা পৃথিবীতে গাজায় গণহত্যা বন্ধ ও যুদ্ধবিরতির দাবি উঠেছে। কিন্তু কাউকে পরোয়া না করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে গাজায় এখনো গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। আর যুক্তরাষ্ট্রও রাজনৈতিক, আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে প্রত্যক্ষভাবে এই গণহত্যার অংশীদার হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় গণহত্যা বন্ধ, যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলকে আর্থিক-সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন বিক্ষোভ চলছে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে হামলার প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও। বিক্ষোভ দমনে ইতোমধ্যে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Next nat'l polls: BNP urges CA, CEC to disclose what they discussed

Ensuring free and fair polls is now the main responsibility of EC and govt, he says

27m ago