দেশে প্রথম মোবাইল ফোনের সার্কিট বোর্ড তৈরি করবে ওয়ালটন
স্থানীয়ভাবে প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড (পিসিবি) উৎপাদনের জন্য ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজকে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই অনুমোদনের ফলে দেশের অন্যতম শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি প্রথম দেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশেই এমন পণ্য তৈরি করতে পারবে।
পিসিবির মাধ্যমে প্রসেসর ও সেন্সর নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ওয়ালটন ইতোমধ্যে কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের চার্জার ও ব্যাটারির জন্য পিসিবি তৈরি করে। এখন তারা মোবাইল ফোনের জন্য মাল্টিলেয়ার পিসিবি তৈরির সুযোগ পাবে।
বিটিআরসি ডকুমেন্ট অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি ছয় মাসের জন্য কাঁচামাল আমদানি ও পিসিবি তৈরির প্রাথমিক অনুমোদন পাবে। এই সময়ের মধ্যে মান যাচাইয়ের পর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।
এ ধরনের অনুমোদন দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদনে মূল্য সংযোজন বাড়ানোর পথ খুলে দেবে। মূলত বেশিরভাগ উপাদান আমদানি করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ফোনের মোট উৎপাদন খরচের পাঁচ থেকে সাত শতাংশ যায় পিসিবি উৎপাদনে।
বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্থানীয় মোবাইল উৎপাদন শিল্পের জন্য এটি ভালো উদ্যোগ।'
ওয়ালটন যেসব ইলেকট্রনিক্স ও ডিজিটাল ডিভাইস তৈরি করে সেগুলোর জন্য পিসিবি দরকার। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ওয়ালটন থেকে পিসিবি কিনলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ডলার সাশ্রয় হবে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে স্পেকট্রাম ডিভিশন কমিশনারের নেতৃত্বে বিটিআরসির কর্মকর্তারা ওয়ালটনের কারখানা পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা মোবাইল ফোনের জন্য পিসিবি তৈরির পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি, জায়গা, টেস্টিং ডিভাইস ও জনবল পেয়েছেন।
পিসিবি উৎপাদনের ফলে ওয়ালটন ভ্যাট রেয়াত পাবে।
ভ্যাট রেয়াতের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের শুধু পিসিবি, চার্জার, ব্যাটারি, হাউজিং ও কেসিং তৈরির জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা থাকলে হবে না, এগুলোর কমপক্ষে ৫০ শতাংশ উত্পাদন করতে হবে।
২০১৮ সালে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, নেটওয়ার্কিং ডিভাইস, মনিটর, প্রজেক্টর, মাদারবোর্ড, ডেটা স্টোরেজ ডিভাইস, পেরিফেরালস, ওয়্যারেবলস, ওয়ার্ক স্টেশন ও ট্যাবলেট পিসি তৈরির মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।
Comments