আনু মুহাম্মদ নিজে নিজেই হাঁটতে পারবেন, আশা চিকিৎসকদের

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। ছবি: সংগৃহীত

ট্রেন থেকে নামার সময় পড়ে গিয়ে আহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়াই হাঁটতে পারবেন বলে চিকিৎসকরা আশা করছেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনু মুহাম্মদের পায়ের ক্ষতিগ্রস্ত আঙুলগুলোতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।  

এ তথ্য জানিয়ে আজ মঙ্গলবার ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. রায়হানা আউয়াল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আনু মুহাম্মদ ভাল আছেন। আশা করছি তিনি কোনো কিছুর সহায়তা ছাড়া এবং জুতা-মোজা পরেই হাঁটাচলা করতে পারবেন।'

তিনি বলেন, 'রোববার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা আনু মুহাম্মদের পায়ের অস্ত্রোপচার হয়। বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল থেকে চারটা আঙুলের হাড় বের হয়েছিল। ছোট আঙুলও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত ছিল।'

'তার উরু থেকে চামড়া নিয়ে রিপিয়ারিং করা হয়েছে এবং ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের শুধু নখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটা আশা করি ঠিক হয়ে যাবে, আগামী বৃহস্পতিবার আবার ড্রেসিং করা হবে,' যোগ করেন ডা. রায়হানা আউয়াল।

গত ২১ এপ্রিল সকালে খিলগাঁও ক্রসিংয়ে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে চাকায় পায়ের আঙুল কাটা পড়ে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের।

প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নেওয়া হয়। দুইদিন পর তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

ইনস্টিটিউটে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের সঙ্গে থাকা মাহাতাব উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত রোববার চিকিৎসকরা আনু মুহাম্মদের বাম পায়ের ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি ও ডান পায়ের একটি আঙুলে অস্ত্রোপচার করেছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার পায়ের ব্যান্ডেজগুলো খুলে দেখে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে চিকিৎসকরা বলেছেন।'

'চিকিৎসকের পরামর্শে আনু মুহাম্মদ স্যারকে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলেছেন জুতা-মোজা পরে আগের মত হাঁটতে পারবেন আনু মুহাম্মদ স্যার,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
India visa restrictions for Bangladeshi patients

A wake-up call for Bangladesh to reform its healthcare

India’s visa restrictions on Bangladeshi nationals, while initially perceived as a barrier, could serve as a wake-up call for Bangladesh to strengthen its healthcare system and regain the confidence of its patients.

11h ago