মৌসুম শেষে তরমুজের কেজি বেড়ে ৭০ টাকা

কারওয়ান বাজারে তরমুজ কিনছে মানুষ। ছবি: স্টার

বৈশাখের তীব্র তাপপ্রবাহে বেড়েছে তরমুজ বিক্রি। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে দামও।

ঈদের পর তরমুজের দাম একদফা বেড়ে ৬০ টাকা কেজি হলেও, চলমান তাপদাহের মধ্যে তরমুজের কেজি বেড়ে ৭০ টাকা হয়েছে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, তালতলা ও আগারগাঁও এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রচণ্ড গরমের কারণে তরমুজের চাহিদা বেড়ে গেছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। 

ব্যবসায়ীরা জানান, শুধু গরম নয়, তরমুজের মৌসুম এখন শেষের দিকে। বরিশাল থেকে এখন আর তরমুজ আসছে না। শুধু খুলনা থেকে সরবরাহ চালু আছে।

কারওয়ান বাজারে তরমুজ কিনতে দেখা গেল দিনমজুর কেরামত উল্লাহকে। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দিনমজুরের কাজ করি। খুব পানির তৃষ্ণা পেয়েছে। তাই একটা তরমুজ কিনলাম।'

তিনি ১৫০ টাকা দিয়ে একটি তরমুজ কিনলেন। বললেন, 'এটা আনুমানিক ৩ কেজি হবে। কয়েকজন মিলে খাব। এখনকার তরমুজ বেশ মিষ্টি। ভালোই লাগবে আশাকরি।' 

কারওয়ান বাজারের তরমুজ বিক্রেতা মো. ইব্রাহীম গতকাল ১০০টি তরমুজ কিনেছেন ১৭ হাজার টাকা দিয়ে। গড়ে প্রতিটি ১৭০ টাকা করে পড়েছে।

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তরমুজগুলো ১৫০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি করছি। বেশিরভাগই ২০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এখন ছোটগুলো ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি।'

এই ব্যবসায়ী জানান, প্রায় সাড়ে ৪ কেজি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন। ১৫০ করে বিক্রি করেছেন ৩ কেজি ওজনের তরমুজ।

খুলনার তরমুজগুলো ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান। 

মৌসুমের শেষ দিকে এসে দিনে প্রায় ২০০টি করে তরমুজ বিক্রি করতে পারছেন তিনি।

এদিকে, শেওড়াপাড়ার ফলের আড়তের দোকানগুলো থেকে দিনে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩০-৪০টি তরমুজ। 

এই ব্যবসায়ীরা জানান, তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।

কারওয়ান বাজারের ফলের আড়ত সিটি ফার্মের ম্যানেজার মোক্তার হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বরিশালের তরমুজ শেষ হয়েছে গত সপ্তাহে। আর ১০-১৫ দিন খুলনা থেকে তরমুজ আসবে, যদি বৃষ্টি না হয়।'

'বৃষ্টি হলেই তরমুজ নষ্ট হয়ে যাবে। বৃষ্টি না হলে আর ১৫ দিনের মতো তরমুজ পাওয়া যাবে', বলেন তিনি।

এই ব্যবসায়ী আরও জানান, মৌসুমের তরমুজ শেষ হয়ে গেলেও সিলেট, সুনামগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গার বারোমাসি তরমুজ বাজারে আসবে।

এই তরমুজের রঙ কিছুটা কালচে বলে জানান তিনি।  

Comments

The Daily Star  | English

Exports under strain as India slaps more restrictions

Industry insiders say the new restrictions could deepen Bangladesh's export woes at a time when global demand remains fragile and other sectors—from garments to processed foods—also face trade hurdles

28m ago