জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে সদস্য করার প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত এই খসড়া প্রস্তাবে ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের সদস্যপদ দেওয়া হোক’।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ফিলিস্তিনকে সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়ে ভোটগ্রহণ চলছে। ১৫ সদস্যের মধ্যে ১২ সদস্য এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ছবি: রয়টার্স
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ফিলিস্তিনকে সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়ে ভোটগ্রহণ চলছে। ১৫ সদস্যের মধ্যে ১২ সদস্য এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ছবি: রয়টার্স

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত এই খসড়া প্রস্তাবে ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, 'ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের সদস্যপদ দেওয়া হোক'।

নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১২ সদস্য এতে 'হ্যাঁ' ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত থাকে যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড। পাঁচ স্থায়ী সদস্যের অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে এই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়।

ভেটো না পড়লে প্রস্তাবটি পাস হতে ৯ ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের কোনো প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন— এ স্থায়ী পাঁচ সদস্যের কোনো একটি দেশ বিপক্ষে ভোট দিলে ওই প্রস্তাব আর গৃহীত হয় না।

নিরাপত্তা কাউন্সিলে যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড কাউন্সিলকে বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র দুই-রাষ্ট্র সমাধানে প্রবল সমর্থন অব্যাহত রাখবে। এই ভোটের অর্থ এই নয় যে আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার বিরোধিতা করছি। বরং এর মাধ্যমে আমরা উল্লেখ করতে চাই যে এই সমাধান শুধুমাত্র দুই পক্ষের সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে আসতে পারে।'

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর নিন্দা জানিয়ে একে 'অন্যায্য, অনৈতিক ও অন্যায়' হিসেবে অভিহিত করেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর প্রশংসা করেন।

জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান হ্যাঁ ভোট দেওয়া ১২ সদস্য রাষ্ট্রের উদ্দেশে বলেন, 'এটা খুবই দুঃখজনক একটি বিষয়, কারণ আপনাদের ভোটে ফিলিস্তিনিদের বাস্তবতা মেনে না নিতে আরও সাহস দিবে এবং এর ফলে (এ অঞ্চলে) শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।'

জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য রাখছেন। ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে। ২০১২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে কার্যত রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছিল ফিলিস্তিন। তবে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন।

সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

Comments