গাজায় ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’র প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে পাস

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের ওপর আজ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট হয়। ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে গাজায় 'অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি'র আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে।

আজ সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের সভায় প্রস্তাবটি পাস হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতিসংঘ জানিয়েছে।

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ছাড়াও অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় ত্রাণ সরবরাহ 'বাড়ানোর জরুরি প্রয়োজন' উল্লেখ করে এ প্রস্তাব আনা হয়।

নিরাপত্তা পরিষদের ১০ অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষে মোজাম্বিক এ প্রস্তাব উপস্থাপন করে। প্রস্তাবের ওপর ভেটো না দিলেও ভোটদানে বিরত ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট পড়েছে ১৪টি।

যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা, গাজায় ত্রাণ বাড়ানো-এই তিন দাবিতে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয় নিরাপত্তা পরিষদের সভায়।

প্রস্তাবে রমজান মাসে 'অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি'র আহ্বান জানানো হয়, যা 'স্থায়ী' যুদ্ধবিরতির দিকে নিয়ে যাবে। তবে রাশিয়ার প্রস্তাব ছিল, এই প্রস্তাবনাতেই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো। কিন্তু, তা গৃহীত হয়নি।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত থাকলে আরও 'কয়েক মাস আগে' যুদ্ধবিরতি হতে পারত-তা প্রস্তাবে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা উচিত।

প্রস্তাব পাসের পর প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রস্তাবটি অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। (নিরাপত্তা) পরিষদের ব্যর্থতা ক্ষমা করা হবে না।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলার পর গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ এখনো দ্বিধা বিভক্ত। পরিষদের সভায় এখন পর্যন্ত আটটি প্রস্তাব আনা হলেও অনুমোদন হয়েছে মাত্র দুটি, যা মূলত ছিল মানবিক সহায়তা নিয়ে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম থেকে ইসরায়েলকে সামরিক অভিযানে সমর্থন দিয়ে আসছে এবং বারবার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব আটকে দিয়েছে।

আজকের প্রস্তাব পাস হওয়ার পর ইসরায়েল চলতি সপ্তাহে তাদের প্রতিনিধিদলের হোয়াইট হাউজ সফর বাতিল করেছে। প্রস্তাব পাস হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগের অবস্থান থেকে 'স্পষ্ট পশ্চাদপসরণ' করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

Comments