বাড়তি ভাড়া নিয়ে তর্ক, ‘যাত্রীদের মারধরে’ বাসচালক ও সহকারী নিহত
সাভারের আশুলিয়ায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে যাত্রীদের মারধরে আহত বাসচালক ও সহকারী মারা গেছেন।
আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে ইপিজেড সংলগ্ন এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে যাত্রীদের মারধরে তারা আহত হন। যাত্রীরাই তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নিহতরা হলেন—ইতিহাস পরিবহন বাসের চালক সোহেল রানা বাবু (২৬) ও তার সহকারী হৃদয় (৩০)।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'বাড়তি ভাড়া চাওয়ায় যাত্রীদের হামলার শিকার হয় ইতিহাস পরিবহনের চালক ও কনডাকটর। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।'
ময়নাতদন্তের জন্য নিহত দুজনের মরদেহ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
নিহত হৃদয়ের বড় ভাই আতিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'একজন যাত্রী মিরপুর থেকে গাড়িতে ওঠেন। রাস্তায় ভাড়া নিয়ে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। ভাড়া ২০ টাকা বেশি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। বাসটি ইপিজেড এলাকায় পৌঁছালে ২০ থেকে ২৫ জন যুবক গাড়িতে উঠে আমার ভাইকে মারধর করে এবং মেরেই ফেলে।
'এরপর ড্রাইভারকেও মারধর করে। হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মরদেহ এখনো হাসপাতালে আছে। আমরা হৃদয়ের মরদেহ গাজীপুরে নিয়ে যাব,' বলেন আতিকুল।
যোগাযোগ করা হলে ইতিহাস পরিবহনের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চালক ও হেলপার দুজনই মারা গেছে। যতটুকু জানতে পেরেছি ইপিজেডের ওখানে ঝামেলা হয়েছিল। বেশ কয়েকজন যুবকের মারধরে চালক ও হেলপার মারা গেছে। বাড়তি ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে মারধরে মারা গেছে কি না, বলতে পারছি না।'
Comments