মন্তে কার্লোও নেই নাদাল, সংশয়ে ফরাসি ওপেনও

মন্তে কার্লো মাস্টার্স থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা।

চোট থেকে এখনও সেরে উঠতে পারেননি স্প্যানিশ টেনিস তারকা রাফায়েল নাদাল। ফলে মন্তে কার্লো মাস্টার্স থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা। এমনকি আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য ফ্রেঞ্চ ওপেনে ফেরা নিয়েও রয়েছে বড় সংশয়।

গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে পাওয়া চোট সারিয়ে চলতি বছরের শুরুতে কোর্টে ফিরেছিলেন নাদাল। ঠিক ৩৪৬ দিন পর। ফিরেছিলেনও স্বরূপেই। কিন্তু ফের চোটে পড়ায় খেলা হয়নি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। ধারণা করা হয়েছিল মন্তে কার্লো মাস্টার্সে খেলবেন তিনি। কিন্তু চোটের আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় ছিটকেই গেলেন ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী এই তারকা।

রোলাঁ গারোয় রেকর্ড ১৪ বার ফরাসি ওপেন জিতেছেন নাদাল। মন্তে কার্লোর মাস্টার্সেও জিতেছেন সর্বোচ্চ ১১টি শিরোপা। ফ্রেঞ্চ ওপেনের আগে এই মাস্টার্সে ফিরে ম্যাচ ফিটনেসের ঘাটতি পূরণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে বড় ধাক্কা খেলেন নাদাল। সামাজিকমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়ে মন্তে কার্লোতে না খেলার বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন তিনি।

বিবৃতিতে নাদাল লিখেছেন, 'দুর্ভাগ্যবশত আমি আপনাদের জানাতে চাই যে আমি মন্তে কার্লোতে খেলতে যাচ্ছি না। আমার শরীর আমাকে অনুমতি দিচ্ছে না। এমনকি যদি আমি কঠোর পরিশ্রম করি এবং সমস্ত ইচ্ছার সঙ্গে প্রতিদিন সর্বোচ্চ চেষ্টা করি এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে খেলার এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার, সত্য হল যে আমি খেলতে পারব না।'

'আপনাদের কোনো ধারণা নেই এই ইভেন্টগুলো খেলতে না পারা আমার জন্য কতটা কঠিন। আমি যা করতে পারি তা হল পরিস্থিতিকে মেনে নেওয়া এবং উত্তেজনা বজায় রেখে অবিলম্বে ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর চেষ্টা করা এবং আমাকে আরও ভালো করার সুযোগ দেওয়ার জন্য খেলতে চাই,' যোগ করেন এই স্প্যানিশ তারকা।

মন্তে কার্লোতে এর আগের তিন আসরেও চোটের কারণে খেলতে পারেননি নাদাল। সবশেষ শিরোপা জিতেছেন ২০১৮ সালে। এরপর ২০১৯ সালে ছিটকে যান সেমি-ফাইনাল থেকে। আর ২০২১ সালে কোয়ার্টার ফাইনালেই হেরে বিদায় নেন। ২০২০, ২০২২ ও ২০২৩ সালে খেলতে পারেননি তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
What constitutes hurting religious sentiments

Column by Mahfuz Anam: What constitutes hurting religious sentiments?

The issue of religious tolerance have become a matter of great concern as we see a global rise in narrow-mindedness, prejudice and hatred.

10h ago